যতদিন এগিয়েছে ততই মানুষের উন্নতির সাথে সাথে তাল মিলিয়ে বেড়েছে ব্যস্ততা। তবে যুগের সাথে নিজেকে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে অনেকেই খেয়ে হারাচ্ছেন। নানা ধরণের চিন্তায় জর্জরিত হয়ে অনেকের পরিমিত ঘুম টুকুও পাচ্ছেন না প্রতিদিন। যার ফলে শরীর ও স্বাস্থ্য দুইয়েই প্রভাব পড়ছে ব্যাপক। অর্থাৎ অনেকেই অনিদ্রাজনিত সমস্যায় (Sleeplessness Problem) ভুগছেন। তাই আজ আপনাদের জন্য কয়েকটি ঘুমিয়ে পড়ার উপায় (Easy Sleeping tips) নিয়ে হাজির হয়েছি।
মানসিক চাপ থেকে শুরু করে নানা ধরণের চিন্তার কারণে অনেকেরই রাতে ঘুম আসতে চায় না। এদিকে শরীরে যথেষ্ট ঘুম না হলে পরের দিন যেমন শরীর ঠিক মত চলতে চায় না তেমনি নানা ধরণের রোগেরা বাসা বাঁধতে শুরু করে। তাই যারা এই অনিদ্রাজনিত সময়সায় ভুগছেন তারা এই সহজ টোটকাগুলি ব্যবহার করে উপকৃত হতে পারেন।
১. ঘুমাতে যাবার আগে মোবাইল বা ট্যাবলেট জাতীয় জিনিস ব্যবহার না করা
আজকালকার দিনে স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে। তবে আপনি যদি ফোন বা ট্যাবলেটের সামনে থাকেন তাহলে আপনার ঘুম এমনিতেও আসবে না। কারণ সেই ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস থেকে বেরোনো রশ্মি আপনার ঘুমকে প্রভাবিত করে। তাই ঘুমাতে যাবার ৩০ মিনিট আগেই মোবাইল বা ট্যাবলেট ইত্যাদি ব্যবহার বন্ধ করে দিন।
২. সঠিক ডায়েট
শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম হওয়ার জন্য শরীরের দিকে সবার আগে নজর দিতে হবে। এর জন্য প্রতিদিনের খাবারের সঠিক ডায়েট তৈরী করতে হবে। শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ মাত্রা ঠিক থাকলে ঘুম স্বাভাবিকভাবেই ঠিক সময়ে হয়ে যাবে। চেষ্টা করবেন রাতের খাবার ঘুমাতে যাবার অন্তত ৩০-৬০ মিনিট আগে শেষ করে নেবার।
৩. ঘুমাতে যাবার আগে গরম দুধ
অনেকেই ছোট বেলায় ঘুমাতে যাবার আগে গরম গরম দুধ খেতে অভ্যস্ত ছিলেন। যদিও সেই সময় মা বাবার কথা মত খেতেন দুধ তবে এর পিছনে রয়েছে কিছুটা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা। গরম দুধ খেলে শরীরে ট্রিপটোফেন এর মাত্রা বৃদ্ধি পায়। যেটা শরীরের ঘুমের পরিমান বাড়াতে সাহায্য করে।
৪. ধ্যান বা মেডিটেশন
আগেই বলেছি মানসিক চিন্তার কারণে ঘুমের সমস্যা হতে পারে। তাই মনকে শান্ত ও অবিচলিত করতে ধ্যান হল সবচাইতে উপকারী একটি পদ্ধতি। প্রতিদিন নিয়ম করে কিছুটা সময় ধ্যান করতে পারলে ঘুমের সমস্যা অনেক ক্ষেত্রেই কমে যেতে পারে। আপনি চাইলে শুতে যাবার আগে বা সকালে ঘুম থেকে উঠে মেডিটেশন করতে পারেন।
৫. শরীরচর্চা
ধ্যানের মতোই সঠিক খাওয়াদাওয়া আর শরীরচর্চা শারীরিক স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ কম করে। যার ফলে শরীরের ক্লান্তি অনেকটাই দূর হয় ও আটের ঘুম ভালো হয়। প্রতিদিন নিয়ম করে শরীরচর্চা করলে যেমন ঘুম ঠিক মত ও পর্যাপ্ত পরিমাণে হয় তেমনই শরীরে আলাদা এনার্জি পাওয়া যায়।