খুব কম মানুষই এমন ভাগ্য নিয়ে জন্মায় যারা শেষ অবধি নিজের ভালোবাসার মানুষটার সাথে থাকতে পারে। একজন প্রেমিক প্রেমিকার অনেক কারণেই বিচ্ছেদ হয়, কিন্তু এমনও হয় কিছু কিছু লাভস্টোরি মাঝপথে থমকে যায় হঠাৎ ঘটে যাওয়া আকস্মিক কোনোও মৃত্যুর কারণে। তারকাদের জীবনেও এই ঘটনার অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে।
আজ আপনাদের জানাব এমনই কিছু প্রেমকাহিনী সম্পর্কে, যেগুলো একসময় প্রকৃত ভালোবাসার উদাহরণ হয়ে থাকলেও একটা আচমকা মৃত্যুতে অসমাপ্তই থেকে গিয়েছে।
দিব্যা ভারতী (Divya Bharti) :
বলিউডে সুন্দরী অভিনেত্রীদের তালিকায় প্রথম সারিতেই উঠে আসে দিব্যা ভারতীর নাম। নব্বইয়ের দশকের অন্যতম সুন্দরী ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী দিব্যার সৌন্দর্যের তুলনা করা হয়েছিল স্বয়ং শ্রীদেবীর সাথেও। লাগাতার দর্শকদের হিট ছবি উপহার দিয়ে গেছেন এই অভিনেত্রী। তাই আজও তিনি অমলিন। তার অকাল মৃত্যুতে শোকের ছাঁয়া নেমে এসেছিল গোটা বলিউড জুড়েই। অল্প বয়সেই হারিয়ে গিয়েছিল এই প্রতিভাশালী অভিনেত্রী। তাঁর মৃত্যুর পর শোকে দিশেহারা হয়ে গিয়েছিলেন অভিনেত্রীর স্বামী সাজিদ নাদিয়াওয়ালা।
চিরঞ্জীবী (Chiranjeevi) :
বিয়ের দুবছর হয়েছিল মাত্র। গত বছর ৭ ই জুন হঠাৎই পরিবার, পরিজন, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মেঘনাকে ছেড়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন জনপ্রিয় দক্ষিণী অভিনেতা চিরঞ্জীবী সারজা (Chiranjeevi Sarja)। তার এই আকস্মিক প্রয়াণের জন্য তৈরি ছিলেন না কেউই। মাত্র ৩৯ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছিলেন অভিনেতা।
সুশান্ত সিং রাজপুত (Sushant Singh Rajput) :
সুশান্ত সিং রাজপুত আমাদের মধ্যে নেই প্রায় এক বছরের বেশি সময় হয়ে গেল। ২০২০, ১৪ ই জুন একদিকে করোনার দাপটে জেরবার সারা দেশ, তার মাঝেই দুপুর বেলা খবর এলো চনমনে মেজাজের, দুচোখে হাজারো স্বপ্ন যাপন করা, হাসিখুশি ছেলেটা আর নেই। অভিনেতার বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় তার ঝুলন্ত দেহ। আর এর জেরেই অসম্পূর্ণ থেকে যায় রিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে তার প্রেম। যদিও অনেকেই মনে করেন সুশান্তের মৃত্যুর জন্য তার প্রেমিকা রিয়াই দায়ী।
সিদ্ধার্থ শুক্লা (Sidharth Shukla) :
দুচোখ ভরা স্বপ্ন ছিল ওদের। বিগবসের ঘরে প্রকাশ্যে সিদ্ধার্থ শুক্লাকে (Siddharth shukla) শেহনাজ বলেছিলেন ‘তুমি আমার, কেবল মাত্র আমার’। একটু একটু করে তৈরি হচ্ছিলেন নিজেরা। কিন্তু হঠাৎই শেহনাজকে বিন্দুমাত্র টের টুকু পেতে না দিয়েই পৃথিবী ছাড়লেন সিদ্ধার্থ। বর বেশে আর সিদ্ধার্থকে দেখা হল না শেহনাজে গিলের, বরং ভালোবাসার মানুষের মরদেহের সামনে দাঁড়াতে হল তাকে।
প্রত্যুষা ব্যানার্জি (Pratyusha Banerjee) :
২৪ বছর বয়সে গোরেগাঁওয়ের বাড়ি থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল ‘বালিকা বধূ’-র আনন্দী অর্থাৎ প্রত্যুষার। যদিও তার পরিবারের কাছে এই মৃত্যু আত্মহত্যা নয় সুপরিকল্পিত হত্যা। তাদের অভিযোগের তীর প্রত্যুষার সমকালীন প্রেমিক রাহুল রাজের দিকে।