গতমাসেই ভারতবর্ষে লিথিয়ামের বড় ভান্ডারের খোঁজ পাওয়া নিয়ে হইচই পরে গিয়েছিল। আর হবে নাই বা কেন! ইউরেনিয়ামের খোঁজ পাওয়া সত্যিই একটা দারুন ব্যাপার। কারণ আমরা যে সমস্ত ব্যাটারী চালিত ইলেক্ট্রনিক প্রোডাক্ট ব্যবহার করি তার ব্যাটারীতে লিথিয়াম থাকে। যেটা ভারতকে বাইরের দেশ থেকে কিনে আনতে হয়, মূলত চীন থেকেই এই লিথিয়াম কেনে ভারত। তবে সম্প্রতি আরোএকটি বড় খোঁজপাওয়া গিয়েছে। যেটা ভারতের ভবিষ্যৎগড়ে তুলতে একটা বড়ভূমিকা পালনকরবে।
লিথিয়ামের পর সম্প্রতি হিমাচল প্রদেশের কিছু এলাকায় ইউরেনিয়ামের ভান্ডারের খোঁজ মিলেছে। অল্পসল্প নয় ইউরেনিয়ামের বিশাল ভান্ডারের খোঁজ মিলেছে হিমাচল প্রদেশে। যেমনটা জানা যাচ্ছে, সিমলার কাসাকালারি ও মান্ডি জেলার তিলেলি এলাকাতেই মূলত খোঁজ মিলেছে এই ইউরেনিয়ামের ভান্ডারের। যেমনটা জানা যাচ্ছে বিজ্ঞানীদের অনুমান কাসকালারিতে ২০০ টন ও তিলেলি জেলায় ২২০ টন অর্থাৎ মোট ৪২০ টনের ট্রাই ইউরেনিয়াম অক্সকসাইড মজুত রয়েছে।
অনেকেরই হয়তো অজানা এই ইউরেনিয়াম কি কাজে ব্যবহৃত হয়! আর কেনই বা ইউরেনিয়ামের খোঁজ পাওয়া এতটা গুরুত্বপূর্ণ ভারত তথা যে কোনো দেশের ক্ষেত্রে। আসলে ইউরেনিয়াম হল একটি তেজস্ক্রিয় মৌল, যা নিউক্লিয়ার অস্ত্র তৈরীর জন্য ব্যবহৃত হয়। শুধুই নয় অস্ত্র, নিউক্লিয়ার সাবমেরিন চালানোর জন্যও জ্বালানি হিসাবে তেজস্ক্রিয় জ্বালানি অর্থাৎ ইউরেনিয়ামের প্রয়োজন।
পৃথিবীর বিশালাকার মেশিন যেমন বিশালাকার বরফ ভাঙার মেশিন, যুদ্ধ বিমান বয়ে নিয়ে যাবার বিশাল ক্যারিয়ার জাহাজ ইত্যাদিতেও জ্বালানি হিসাবে এই ইউরেনিয়াম ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও বর্তমানে নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট চালু হয়েছে বহু দেশে। যার সাহায্যে খুব কম জ্বালানিতেই গোটা দেশকে কয়েক বছরের জন্য ইলেকট্রিক সাপ্লাই দেওয়া যাবে।
এখানেই শেষ নয়, চিকিৎসা ক্ষেত্রেও ইউরেনিয়ামের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। ইউরেনিয়ামের কিছু আইসোটোপ অর্থাৎ একই ধরণের দেখতে কিছু মৌল যা চারিত্রিক দিক থেকে কিছুটা আলাদা তা রেডিও থেরাপি ও গামা স্টেরোলাইজেশনের জন্য ব্যবহার করা হয়। আর এই সমস্ত ক্ষেত্রে চাহিদা পূরণের জন্য ভারতকে সিংহ ভাগটাই আন্তে হল বিদেশ থেকে। সেখানে এই বিপুল ইউরেনিয়ামের ভান্ডার বিশাল গুরুত্বপূর্ণ।