আবহাওয়া এমন হয়েছে যে কখন ঠান্ডা কখন গরম ধরতেও পারবে না! অনবরত ওয়েদারের পরিবর্তনের কারণে সর্দি কাশির (Cough and Cold) সমস্যা লেগেই থাকে। এখন আবার শীতের বিদায়বেলায় ওঠানামা করছে উষ্ণতার পারদ। স্বাভাবিকভাবেই তাই অনেকে গলা ব্যথা, সর্দি, কাশি, জ্বরের সমস্যায় ভুগছেন। অনেকেই আছেন কাশি কমাতে কফ সিরাপের ওপর ভরসা করেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেন, অকারণে বেশি কফ সিরাপ খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক।
কফ সিরাপ খেলে ঝিমুনি ভাবও আসে, সেই কারণে অনেকেই কফ সিরাপ খাওয়া পছন্দ করেন না। তবে আপনি কি জানেন, এমন বেশ কিছু ঘরোয়া টোটকা রয়েছে যেগুলি কফ সিরাপের চেয়েও অনেক বেশি কার্যকর। গলা ব্যথা হোক বা কাশি সব ক্ষেত্রেই চোখ বন্ধ করে মানতে পারেন এই টোটকাগুলি। এক নজরে দেখে নিন সেই ঘরোয়া টোটকাগুলি (Home remedies)।
নুন জল দিয়ে গার্গল (Gurgle)- গলা ব্যথা, কাশির সমস্যায় যারা ভুগছেন তাঁরা নুন জল দিয়ে গার্গল করলে অনেকটা উপকার পাবেন। বহু প্রাচীন এই টোটকা ব্যবহার করলে গলা ব্যথা, গলা খুসখুস কিংবা কাশির সমস্যা দূর হয়। নুন জল দিয়ে গার্গল করার পরামর্শ চিকিৎসকেরাও দিয়ে থাকেন। এর মধ্যে থাকে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ভাইরাল উপাদান- এতে দূর হয় গলার সংক্রমণ।
লেবু মধুর জল (Honey lemon water)- শরীরের মেদ ঝরাতে অনেকেই সকালে উষ্ণ গরমজলে লেবুর রস এবং মধু মিশিয়ে পান করেন। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, সর্দিকাশির সঙ্গে মোকাবিলা করতেও এটি সাহায্য করে। লেবু মধুর জলে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি উপাদান। এতে বিদায় নেয় গলা ব্যথা এবং কাশির সমস্যা।
হলুদ (Turmeric)- শরীর সুস্থ রাখার একটি উপাদান হল হলুদ। যা প্রত্যেক মানুষের রান্নাঘরেই থাকে। হলুদ গুঁড়ো গরম দুধে মিশিয়ে পান করলে সর্দি কাশির সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। যদি কাঁচা হলুদ সরাসরি ব্যবহার করেন তাহলে আরও ভালো। হলুদের মধ্যেও রয়েছে অ্যান্টি ভাইরাল, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি উপাদান। এগুলিও গলার সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
আদা চা (Ginger tea)- গলা ব্যথা, কাশি কমাতে আদা চাও একটি দারুন ঘরোয়া টোটকা। দিনে যদি তিন থেকে চার বার আদা চা পান করেন তাহলে অনেকটাই উপকার পাবেন।
এর মধ্যেও রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি, অ্যান্টি ভাইরাল উপাদান। যা কাশি, গলা ব্যথা কমাতে প্রচণ্ড সাহায্য করে। সেই সঙ্গে পরিষ্কার রাখে শ্বাসনালীও।