Tips to remove dandruff from hair: এখনকার এই স্ট্রেস ভরা জীবনে ঘন, কালো চুল (Hair) পাওয়া অলীক স্বপ্নের মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। গ্রীষ্ম, বর্ষা হোক বা শীত- সারা বছর চুলের নানান রকম সমস্যা (Hair Problem) লেগেই থাকে। বিশেষত বর্ষাকালের (Monsoon) স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায় পুরুষ-মহিলা সকলেই চুল ওঠার (Hair Fall) সমস্যার সম্মুখীন হন। পাশাপাশি খুশকির (Dandruff) সমস্যাও দেখা দেয় অনেকের। আজকের প্রতিবেদনে তাই চুলের সমস্যা দূর করার ৪টি সহজ ঘরোয়া উপায় (Home Remedies) তুলে ধরা হল।
খুশকি কিংবা চুল পড়ার সমস্যা রোধ করতে অনেকেই আজকাল বাজারের নানান রকম প্রসাধনী সামগ্রীর ওপর আস্থা রাখেন। তবে বেশিরভাগ সময় এগুলি কাজ দেয় না। তখন মানুষ বুঝে উঠতে পারেন না কীভাবে চুলের এই সমস্যার প্রতিকার করা সম্ভব। তবে আর চিন্তা নেই। চুলের সমস্যা দূর করার ৪টি অত্যন্ত সহজ ঘরোয়া টোটকা আজ আমরা বলে দিচ্ছি। সেগুলি মেনে চললে কয়েকদিনের মধ্যেই নিজের চোখে আপনি রেজাল্ট দেখতে পাবেন।
তেল মালিশ (Oil Massage)- সপ্তাহে কম করে ৩ দিন চুলে তেল মালিশ করা উচিত। বিশেষত চুলের গোড়া এবং ডগায় তেল মালিশ করতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। চুল পড়া সহ চুলের নানান সমস্যায় যারা ভুগছেন তাঁরা তেল মালিশ করলে অনেকটা উপকার পাবেন।
চুল পরিষ্কার রাখা (Clean Your Hair)- চুল অপরিষ্কার থাকলে চুল ওঠা সহ একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। বর্ষাকালে তেমন ঘাম হয় না দেখে অনেকেই ভাবেন শ্যাম্পু করার প্রয়োজন নেই। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে মরসুমই হোক না কেন সপ্তাহে অন্তত ২-৩ বার শ্যাম্পু করা উচিত। এতে চুলের গোড়া পরিষ্কার থাকে। ফলে চুল ওঠা, খুশকি সহ একাধিক সমস্যা কমে যায়।
হেয়ার প্যাক লাগানো (Use Hair Pack)- তেল এবং শ্যাম্পু করার পাশাপাশি হেয়ার প্যাক লাগানোও ভীষণ জরুরি। তবে এক্ষেত্রে বাজার চলতি কোনও হেয়ার প্যাক নয়, বরং বাড়িতে বানানো হেয়ার প্যাক ব্যবহার করলে বেশি ভালো রেজাল্ট পাওয়া যায়। টক দই এবং ডিম মিশিয়ে বাড়িতেই প্রোটিন হেয়ার প্যাক নিতে পারেন।
খাদ্যাভাসে বদল (Proper Diet)- শুধু বাইরে থেকে নয়, ভেতর থেকেও চুলের পুষ্টি জোগানো দরকার। চুলের যত্ন নিতে সেই জন্য ডায়েটে স্বাস্থ্যকর খাবার রাখতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য ডিম, বাদাম, মাছ, ফল, রাজমা, সবজি খাওয়া উচিত।
পাশাপাশি ভিজে চুল বেশি আঁচড়ানো, বাজার চলতি হেয়ার প্রোডাক্টের অতিরিক্ত ব্যবহারও ভালো নয় বলে মত বিশেষজ্ঞদের। চুলের যত্নে তাই আস্থা রাখুন এই ঘরোয়া টোটকাগুলির ওপর। তবে সমস্যা বেশি হলে কিন্তু অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।