বাচ্চা হোক কিংবা বড়, বছরভর পড়াশোনা করেও পরীক্ষা দেওয়ার আগে ঠিক ভয়ে ভয়ে বুক কাঁপে কমবেশি সকলেরই। কারো মনে কাজ করে পরীক্ষার হলে সব প্রশ্নের উত্তর ভুলে যাওয়ার ভয় আবার কেউ ভাবেন প্রশ্ন কমন আসবে কিনা। তবে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে অনেক সময় এমন অনেক উত্তর আসে যা দেখে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় হয় পরীক্ষকদেরই।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এক তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রের লেখা প্রশ্নের উত্তর। আসলে ওই খুদের সোশ্যাল স্টাডিস -এর পরীক্ষায় প্রশ্ন এসেছিল ‘বিয়ে কি’? (What is marriage?) এখানে এই প্রশ্নের জন্য বরাদ্দ ছিল ১০ নম্বর।সাধারণত যে কোনো পরীক্ষায় প্রশ্ন আসলে একেক জন ছাত্র একেক রকম উত্তর লেখে। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আসলে বিয়ে তো একটা সামাজিক অনুষ্ঠান।তাই এই বিয়ে সম্পর্কে বাচ্চাদের কার মনের মধ্যে কি ধারণা তৈরি হয়েছে তা জানার জন্যই এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল।
কিন্তু প্রশ্নকর্তা হয়তো স্বপ্নেও ভাবেননি ছাত্রদের থেকে এমন কোন উত্তর আসতে পারে যা রাতারাতি ভাইরাল হয়ে পড়বে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভাইরাল ওই ইংরেজি প্রশ্নের উত্তরপত্রে দেখা যাচ্ছে ‘বিয়ে কি’? প্রশ্নের উত্তরে বাচ্চাটি লিখেছে ‘যখন একটি মেয়ে বড় হয়ে যায়, তখন তাকে তার বাবা মা বলে তুমি এখন বড় হয়ে গিয়েছ তোমাকে আর আমরা খাওয়াতে পারব না। তাই তুমি নিজের জন্য এমন একজন পুরুষ খুঁজে নাও যে তোমাকে খাওয়াতে পারবে। তখন মেয়েটিও একজন পুরুষের সন্ধানে বেরিয়ে পড়ে’।
সেইসাথে খুদের সংযোজন ‘অন্যদিকে একটি ছেলে যখন বড় হয়ে যায় তখন তাকেও তার বাবা মা বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে বলে বিয়ে করে বাড়ি ফিরতে’। এখানেই শেষ নয় , খুদে পড়ুয়ার উত্তরপত্রে আরো লেখা রয়েছে ‘এরপর ছেলে আর মেয়েটি একে অপরের সঙ্গে দেখা করে। পছন্দ হলে তারা একসাথে থাকতে শুরু করে। এটাকেই বিয়ে বলে। আর যখন উল্টোপাল্টা ননসেন্স কাজ করে তখন তাদের বাচ্চা হয়’।
What is marriage? ???? pic.twitter.com/tM8XDNd12P
— Paari ᵃᵗᵐᵃⁿ | Panchavan Paarivendan (@srpdaa) October 11, 2022
পাকা ছাত্রের এমন উত্তর দেখে রেগে লাল হয়ে গিয়েছেন শিক্ষক। তাই তাকে দশের মধ্যে নাম্বর দেওয়া তো দূরে থাক রাগের মাথায় শূন্যই বসিয়ে দিয়েছেন তিনি। সেই সাথে লাল কালি দিয়ে ছাত্রের উদ্দেশ্যে ‘নির্বোধ’ লিখে তার সাথে নিচে লাল কালি দিয়ে তার সাথে দেখা করার কথাও লিখে দিয়েছেন। তবে মাস্টারমশাই যতই রাগারাগি করুন না কেন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এই পাকা ছাত্রের এমন উত্তর দেখে শুরু হয়েছে ব্যাপক হাসাহাসি।
তবে নেটিজেনদের মধ্যেও তৈরী হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউই শিক্ষকের প্রশ্নকেই ‘অযোগ্য’ বলেন দাবি করেছেন,তো কেউ আবার বলেছেন এখানে শিশুটির কোন দোষ নেই। শিশুরা সরল হয় তাই সে চোখের সামনে যা দেখেছে তাই লিখেছে। আবার অনেকে ভেবেই কুল কিনারা পাচ্ছেন না এইটুকু বয়সে এই বাচ্চাটি বিয়ে সম্পর্কে এত কিছু জানল কিভাবে!