অনেকেই মজা করে বলেন পৃথিবীতে হয়তো এমন কিছুই নেই যেটা গুগল (Google) বলতে পারবে না। এই কথাটা কি আরও একবার দৃঢ়ভাবে প্রমাণ করে দিল গুগল ম্যাপস (Google Maps)। ঘটনাটা যদিও বেশ খানিকটা পুরনো, তবে ঘটনাটি শুনলে কথাটি যে সত্যি তা কিন্তু প্রমাণ হয়।
সময়টা ২০১৯ এর সেপ্টেম্বর মাস, ২২ বছর আগে নিখোঁজ হওয়া এক ব্যক্তির মৃতদেহ বা বলা ভাল দেহাবশেষ খুঁজে দিল গুগল ম্যাপস। ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঞ্চলে। ২২ বছর আগে ফ্লোরিডা শহরের ঘটনা। ৭ ই নভেম্বর ১৯৯৭ উইলিয়াম মল্ট (William Moldt) নামের এক বাসিন্দা রাতের বেলা নাইট ক্লাবে যান কিন্তু আজব বিষয় হলো সেদিন রাতের পর থেকে আর ফেরেননি সেই ব্যক্তি।ওই ব্যক্তির খোঁজে পুলিশে কমপ্লেন হয় এরপর খোঁজ শুরু হয় কিন্তু কোনমতেই খুঁজে পাওয়া যায় না ওই ব্যক্তিকে।
এই ঘটনার পর কেটে গিয়েছে দীর্ঘ ২২ বছর।পাওয়ার আশা তো একেবারেই ছেড়ে দিয়েছিলেন। এরপরনাকি দীর্ঘদিন ধরে নিজের গাড়িসহ ডুবে রয়েছেন সেই ব্যক্তি। খবর পাওয়া মাত্রই শুরু হয় তদন্ত, এর কিছুদিন পরই সেই জায়গা থেকেই উদ্ধার হল ২২ বছর আগে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া উইলিয়াম মল্ট। পুলিশের অনুমান বাইশ বছর আগে রাতে নাইট ক্লাবে মদ্যপানের কারণেই গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডুবে গিয়েছেন মল্ট।
তবে উদ্ধার হওয়ার সময় গাড়ির মধ্যে উইলিয়ামের দেহাবশেষ পাওয়া গিয়েছিল। গাড়িটিকে জল থেকে তুলে দেখা যায় গাড়ির মধ্যে একেবারে অবিকৃত অবস্থায় রয়ে গিয়েছে উইলিয়ামের কঙ্কাল। এই খবরটি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার হওয়ার পর থেকেই গোটা পৃথিবী ব্যাপী ভাইরাল হয়ে পড়ে। কিভাবে গুগল ম্যাপের সাহায্যে একটা ২২ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া যেতে পারে এই খবর দেখতেই ভীষণ আগ্রহী হয়ে পড়েছিলেন মানুষ।
যেমনটা জানা গিয়েছিল, উইলিয়াম এর ডেট বডি খুঁজে পেয়েছিলেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। তিনি ট্রান্সপোর্ট ডিপার্টমেন্ট এ কাজ করেন আর গুগল ম্যাপ নিয়েই তাকে সারাদিন কাজ করতে হয়। ওই ব্যক্তি পুকুর পাড়ে একটি গাড়িকে ডুবে থাকতে দেখেন গুগল ম্যাপের মাধ্যমে। প্রথমে বুঝতে অসুবিধা হলেও পরে তিনি ড্রোন দিয়ে জায়গাটি পরিদর্শন করে বুঝতে পারেন সেখানে সত্যিই একটি গাড়ি ডুবে রয়েছে।