বলিউডের (Bollywood) ইতিহাসের অন্যতম সেরা ছবির তালিকায় নিঃসন্দেহে নাম থাকবে ‘লজ্জা’র (Lajja)। এই ছবির কাহিনী থেকে শুরু করে তারকাদের অভিনয়, সবকিছুই দুর্দান্ত। পাশাপাশি ‘লজ্জা’য় অভিনয় করেছিলেন বলিউডের সেই সময়কার সেরা শিল্পীরা। ছবির স্টার কাস্ট দেখলে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য।
রেখা, অনিল কাপুর, মাধুরী দীক্ষিত, জ্যাকি শ্রফ, অজয় দেবগণ, মনীষা কৈরালা, মহিমা চৌধুরী, ড্যানি, গুলশন গ্রোভার, শরমন যোশী, জনি লিভার, জরিদা জালাল, সুরেশ ওবেরয়-সহ বলিউডের বহু নামী অভিনেতা-অভিনেত্রী এই ছবিতে কাজ করেছেন। উল্লেখ্য, এটি বলিউডের (Bollywood) একমাত্র ছবি যেখানে একসঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন রেখা এবং মাধুরী দীক্ষিত।
২০০১ সালের ৩১ আগস্ট প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল মাল্টিস্টারার এই সিনেমা ‘লজ্জা’। পরিচালনা করেছিলেন রাজকুমার সন্তোষী। অ্যাকশন-ড্রামা ঘরানার এই সিনেমা সমালোচকদেরও বেশ পছন্দ হয়েছিল। ২২ কোটি টাকায় নির্মিত এই ছবি বক্স অফিস থেকে কামিয়েছিল ৩৪ কোটি টাকা।
আজ থেকে ঠিক ২১ বছর আগে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমায় সমাজে মহিলাদের দুর্দশার চিত্র খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল। এই ছবির চার মুখ্য মহিলা চরিত্রের নামও (মৈথিলী, জানকী, রামদুলারী এবং বৈদেহী) রাখা হয়েছিল মা সীতার নামের ওপর ভিত্তি করে।
তবে বলিউডের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ছবি হলেও, ‘লজ্জা’র প্রস্তাব ফিরিয়েছিলেন বলিউডের বহু শিল্পী। শোনা যায়, মহিমা চৌধুরীর চরিত্রটির প্রস্তাব প্রথম তাব্বু এবং করিশ্মা কাপুরের কাছে গিয়েছিল, দু’জনেই সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় মহিমাকে নেওয়া হয় এবং তিনিও দুর্দান্ত অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের ইমপ্রেস করে দেন।
এছাড়াও ছবিতে অজয় দেবগণের চরিত্রটিও দর্শকদের বেজায় পছন্দ হয়েছিল। তবে এই চরিত্রের জন্যেও প্রথমে সানি দেওলকে পছন্দ ছবি নির্মাতাদের। এরপর প্রস্তাব যায় সঞ্জয় দত্তের কাছে। কিন্তু দু’জনেই সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় শেষ পর্যন্ত অজয়কে নেওয়া হয়।
পাশাপাশি সঙ্গীত পরিচালনার ক্ষেত্রেও প্রথমে এ.আর.রহমানকে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু উনি আন্তর্জাতিক প্রোজেক্ট ‘বম্বে ড্রিমস’এর জন্য এই ছবির দায়িত্ব ছেড়ে দিলে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় অনু মালিককে। এছাড়াও এই সিনেমাতেই প্রথমবার একসঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছিলেন রেখা ও মাধুরী এবং মনীষা কৈরালা ও মাধুরী। এত নায়ক-নায়িকা থাকা সত্ত্বেও প্রত্যেকে নিজেদের পারফরম্যান্সের মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছিলেন।
তবে এত সুন্দর কাহিনী এবং শিল্পীরা দুর্দান্ত অভিনয় করলেও এই ছবিটি কিন্তু অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে সেভাবে মর্যাদা পায়নি। ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কারের ক্ষেত্রে এই ছবি ৩টি বিভাগে নমিনেশন পেলেও একটিও জিততে পারেনি। শুধুমাত্র মাধুরী দীক্ষিত জি সিনে অ্যাওয়ার্ডসে সেরা সহ অভিনেত্রী বিভাগে পুরস্কার জিতেছিলেন।