রুপোলি পর্দায় প্রায়শই দেখা মেলে শক্তিশালী ‘সুপারহিরো’দের। আর তাই কঠিন পরিস্থিতির মাঝে পড়ে আমরাও মাঝেমধ্যে ভেবে ফেলি যদি এমন কোনো সুপারহিরো থাকতেন! যদিও সম্প্রতি বাস্তবিকই দেখা মিলল এমনই এক সুপারহিরোর। রাস্তার ধারে এক আবাসনের ১২ তলার বারান্দা থেকে গড়িয়ে পড়ার পরেও বহাল তবিয়তে রয়েছে বছর দুইয়ের এক শিশু কন্যা। শিশুর বেঁচে থাকার কারণ এক ডেলিভারি ম্যান। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল বাস্তব সুপারম্যানের ভিডিও! স্বাভাবিকভাবেই এহেন কীর্তিতে নেটজনতার কাছে আদরের পাত্র হয়ে উঠেছেন ওই ডেলিভারি ম্যান।
সূত্রের মতে, গত রবিবার ভিয়েতনামের (Vietnam) হানয়িতে (Hanoi) এনগুইন এনগোক মানহ নামে এক ডেলিভারি ম্যান প্যাকেজ সরবরাহের ট্রাকে বসে অপেক্ষা করছিলেন। হঠাৎই তাঁর দৃষ্টি যায় নিকটের ১২তলা বাসভবনের দিকে। তিনি লক্ষ্য করেন বছর দুয়েকের ছোট্ট এক শিশু ১২ তলার কিনারায় ঝুলে রয়েছে! জানা যায়, শিশুটি নাকি তার মায়ের হাত থেকে পড়ে গিয়েছে। ঘটনা দেখা মাত্রই চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন তার মা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুসারে, তক্ষুনি ছুটে গিয়ে আবাসনের নীচে টাইলসের ছাদে উঠে দাঁড়ান এনগুইন। ভারসাম্য হারিয়ে যখন শিশুটি নিচের দিকে পড়ে, তখনই তাকে বাঁচাতে সক্ষম হন এনগুইন।
????¡HEROICA ATRAPADA!????
Un repartidor le salvó la vida a una niña de 3 años que cayó del piso 12 de un edificio en Vietnam.
La nena sufrió fracturas en la pierna y en los brazos, pero está viva gracias a la heroica acción de Nguyen Ngoc Manh❤️, quien sufrió un esguince.#VIRAL pic.twitter.com/eI03quT0IM
— Unicanal (@Unicanal) March 1, 2021
সূত্রের খবর, উদ্ধারের পর বাচ্চাটির মুখ থেকে রক্ত বের হতে দেখা যায়। জানা যায়, শিশুটিকে কাছের জাতীয় শিশু হাসপাতালে চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হয়। শিশুটিকে রক্ষার সময় এনগুইনও সামান্য আঘাত পান, তাঁরও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। অন্যদিকে সোশ্যাল মঞ্চে ভাইরাল ডেলিভারি ম্যানের এই অবিশ্বাস্য কীর্তি। স্বভাবতই এনগুইনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটাগরিকরা।
নেটদুনিয়া সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ভাইরাল ভিডিওটি (Viral Video) দেখে ফেলেছেন প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ। এহেন ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে এনগুইন জানিয়েছেন, “ঘটনা ঘটার সময়ে খুব বেশি ভাবার সময় পাইনি। বাচ্চাটিকে দেখে প্রথম আমার নিজের মেয়ের কথাই মনে পড়ে। তাই আমি তাড়াতাড়ি ওকে বাঁচানোর চেষ্টা করি। এক মিনিটের মধ্যেই সবটা ঘটে যায়।” এত তাড়াতাড়ি ছাদে উঠে কিভাবে এই দুঃসাহসিক কাজটি করলেন এনগুইন, সে বিষয়ে নিজেই থ তিনি।