শীত পড়েছে মানেই বাঙালির মন ঘুরুঘুরু (Winter Holiday Travel) করতে শুরু করে দিয়েছে। আগামী ২৫ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারির মধ্যে অনেকেই নানান জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করে থাকেন। এক সপ্তাহের এই লম্বা ছুটির (Trip) জন্য কোথায় যাবেন তা এখনও ঠিক করে না উঠতে পারলে আপনি একদম ঠিক প্রতিবেদনই দেখছেন। আজকের এই প্রতিবেদনে দেশের মধ্যেই স্বল্প বাজেটে ঘুরে আসার ১০টি অপূর্ব জায়গার খোঁজ দেওয়া হল, যেখানে আপনি বর্ষশেষের ছুটিতে চলে যেতেই পারেন।
কঙ্গোজোড়ি গ্রাম, হিমাচল প্রদেশ (Kangojodi) – শহরের কোলাহলে ভরা জীবন থেকে দূরে গিয়ে আপনি যদি ক’দিন প্রকৃতির কোলে কাটাতে চান তাহলে হিমাচল প্রদেশের শিরমৌর জেলার কঙ্গোজোড়িতে চলে যেতেই পারেন। এখানে যাওয়ার জন্য আপনাকে ট্রেন কিংবা বিমানে করে দিল্লি যেতে হবে। এরপর সেখান থেকে শিমলা যাওয়ার ট্রেনে উঠে পরতে হবে। এরপর সেখান থেকে নেমে কঙ্গোজোড়ি।
শোঘি, হিমাচল প্রদেশ (Shoghi) – হিমাচল প্রদেশেরই আরও একটি দুর্দান্ত জায়গা হল শোঘি। পাহাড়ের শান্ত পরিবেশে বর্ষশেষের ছুটি কাটাতে চাইলে এই জায়গাটি আপনার জন্য একেবারে পারফেক্ট। হিমাচল যাওয়ার জন্য আপনাকে ট্রেন কিংবা বিমানে করে দিল্লি যেতে হবে। এরপর সেখান থেকে শিমলা যাওয়ার ট্রেনে উঠে পরতে হবে। হিমাচল পৌঁছনোর পর ট্রেনে করে শোঘি স্টেশনে পৌঁছে গেলেই এসে যাবে আপনার ডেস্টিনেশন।
মাউন্ট আবু, রাজস্থান (Mount Abu) – জঙ্গলে ঘেরা পাহাড়ের কোলে যদি আপনি নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে চান তাহলে মাউন্ট আবু যেতেই পারেন। প্রকৃতির কোলে এই জায়গাটি আপনার জন্য একেবারে সঠিক। আপনি এখানে যেতে চাইলে ট্রেনে করে আহমেদাবাদ যেতে হবে। এরপর সেখান থেকে বাসে করে মাউন্ট আবু।
শিবপুরী, উত্তরাখণ্ড (Shivpuri) – নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে ‘শিব’ ঠাকুরের ‘পুরী’ এই জায়গা। উত্তরাখণ্ডের এই জায়গাটিকে দেখলে মনে হবে যেন স্বর্গে পৌঁছে গিয়েছেন। আপনি যদি খুব অ্যাডভেঞ্চারাস মানুষ হন তাহলে রিভার রাফটিংও করতে পারেন শিবপুরীতে। এখানে যাওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে ট্রেনে করে দিল্লি যেতে হবে। এরপর সেখান থেকে ট্রেনে করে শিবপুরী।
রানীক্ষেত, উত্তরাখণ্ড (Ranikhet) – পাহাড়ের কোলে অবস্থিত এই জায়গাটির অন্যতম আকর্ষণ হল ঝুলা দেবী মন্দির। সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশের আনন্দ উপভোগ করার পাশাপাশি আপনি চাইলে ঘুরে আসতে পারেন সেখান থেকেও। আপনি রানীক্ষেত যেতে চাইলে, প্রথমে ট্রেন কিংবা প্লেনে করে দিল্লি যাবেন। এরপর সেখান থেকে গাড়ি করে সোজা রানীক্ষেত।
পিথোরাগড় (Pithoragarh) – উত্তরাখণ্ডের আরও একটি মনোরম স্থান হল পিথোরাগড়। পূর্ব দিকে নেপাল এবং উত্তর দিকে তিব্বত দিয়ে ঘেরা এই জায়গাটি। সৌন্দর্যের জন্য পিথোরাগড়কে ‘লিটল কাশ্মীর’ও বলা হয়। আপনি কলকাতা থেকে প্লেনে করে সোজা পিথোরাগড় চলে গিয়ে এই স্বর্গসুখ অনুভব করতে পারেন।
মুক্তেশ্বর, উত্তরাখণ্ড (Mukteshwar) – বর্ষশেষের ছুটিতে নৈনিতালের এই ছোট্ট গ্রাম থেকে ঘুরে আসতেই পারেন। প্রকৃতির কোলে ক’দিন কাটাতে চাইলে এই জায়গাটি আপনার জন্য একেবারে পারফেক্ট। এখানে যেতে চাইলে আপনাকে প্রথমে দিল্লি, এরপর সেখান থেকে প্লেনে করে পাঁটনাগর যেতে হবে। এরপর সেখান থেকে ট্যাক্সি বা ক্যাবে করে মুক্তেশ্বর।
খাজ্জিয়ার (Khajjiar)– হিমাচল প্রদেশের এই জায়গাটিতেও বর্ষশেষের ছুটিতে চলে যেতে পারেন। এখানেই রয়েছেন শতাব্দী প্রাচীন খাজ্জি নাগ মন্দির। পাশাপাশি কাজ্জিয়ার লেক, এছাড়াও একটি অভয়ারণ্যও রয়েছে এখানে। কলকাতা থেকে বিমানে করে ধর্মশালা এবং সেখান থেকে ট্যাক্সি করে খাজ্জিয়ার চলে যেতেই পারেন আপনি।
ভরতপুর পাখি অভয়ারণ্য, রাজস্থান (Bharatpur Bird Sanctuary)- আপনি যদি বর্ষশেষের ছুটি পশু, পাখিদের মাঝে কাটাতে চান তাহলে চলে যেতেই পারেন রাজস্থানের ভরতপুর পাখি অভয়ারণ্যে। শীতের মধ্যে জিপ সাফারির মাধ্য়মে অভয়ারণ্যের মজা নিতেই পারেন আপনি। দেখতে পারবেন নানান ধরণের সুন্দর সুন্দর অদেখা পাখি। এখানে যাওয়ার জন্য কলকাতা থেকে দিল্লি এবং সেখান থেকে বাই রোড ভরতপুর। ইন্টারনেটে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, প্রায় ৫ ঘণ্টা লাগবে।
ল্যান্সডাউন, উত্তরাখণ্ড (Lansdowne)- ব্রিটিশ রাজ এবং ভারতের ইতিহাসের এক সংমিশ্রণ দেখতে পারবেন ল্যান্সডাউনে। এখানেই রয়েছে ভারতীয় সেনার বিখ্যাত গারওয়াল রাইফেলের রেজিমেন্ট সেন্টার।
এখানে যেতে কলকাতা থেকে দিল্লি এরপর সেখান থেকে প্লেনে করে দেহরাদুন বা বাই রোড সোজা ল্যান্সডাউন চলে যেতে পারেন।