বলিউড তথা হিন্দি জগতের এক অন্যতম বিখ্যাত অভিনেতা দিলীপ কুমার (dilip kumar)। তার নামের সাথেই অনেকের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। একসময় দিলীপ কুমারের সিনেমা রিলিজের দিন সিনেমা হলের সামনে লাগতো লম্বা লাইন আর মানুষের উপচে পড়া ভিড় চরম উৎসাহের সাথে দেখতে ভালোবাসতো তার ছবি। রোমান্স থেকে অ্যাকশন নিজের অভনয়ের দক্ষতা দিয়ে বারবার মানুষের হৃদয় জিতে নিয়েছেন তিনি।
আপামর ভারতবাসী তাকে দিলীপ উমার নাম চিনলেও অভিনেতার আসল নাম হল মহম্মদ ইউসুফ খান। অবিভক্ত ভারপ্তের পাকিস্তানের পেশোয়ারে এক ফল ব্যবসায়ীর পরিবারে ১৯২২ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। তবে ১৯৩০ সাল নাগাদ চলে আসেন মুম্বাইতে। কর্মজীবনের প্রথমদিকে বাবার ব্যবসার কাজে যোগ দিলেও পরে অভিনয়ের জগতে চলে আসেন। অভিনয় জগতে আসার পর আর ফিরে তাকাতে হয়নি অভিনেতাকে।
স্বাধীনতার আগে ১৯৪৪ সালে প্রথম আত্মপ্রকাশ করেছিলেন দিলীপ কুমার। ‘জোয়ারভাটা (jwar bhata)’ নামের ছবি দিয়েই শুরু হয়েছিল বলিউডে পথ চলা.এরপর বেশ কয়েক দশক ধরে একেরপর এক হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। বাবুল, দিদার, দেবদাস, মুগল-ই আজম, রাম অউর শ্যাম ইত্যাদি ছবিগুলি দর্শকদের মনে আজ গেঁথে রয়েছে। অভিনেতাকে শেষবারের মত পর্দায় ১৯৯৮ সালে ‘কিলা’ ছবিতে।
সম্প্রতি অভিনেতার প্রয়াণে গভীরভাবে শোকাহত হয়েছে গোটা বলিপাড়া। বর্ষীয়ান অভিনেতা তথা বিগ বি অমিতাভ বচ্চন (amitabh bacchan) দিলীপ কুমারের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন। বিগ বি বলেন, দিলীপ কুমার ছিলেন নায়কদের নায়ক। দিলীপ কুমারের অটোগ্রাফ (autograph) পেতে তার সময় লেগেছিল প্রায় ৪৬ বছর। বহুবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছিলেন একটি অটোগ্রাফ নিতে। একই ছবিতে কাজ করেও নিতে পারেননি দিলীপ কুমারের একটি অটোগ্রাফ।
তবে অমিতাভ বচ্চনের দিলীপ কুমারের অটোগ্রাফ পাবার ইচ্ছা পূরণ হয়েছিল একটু অন্যভাবে। ২০০৫ সালে রানী মুখার্জি ও অমিতাভ বচ্চন অভিনীত ‘ব্ল্যাক’ ছবিটি দেখতে সস্ত্রীক হাজির হয়েছিলেন দিলীপ কুমার। ছবিটি দেখে অমিতাভ বচ্চনের অভিনয়ের প্রশংসায় ভরা একটি পত্র লিখেছিলেন দিলীপকুমার। সেই পত্রের শেষেই ছিল ইতি দিলীপ কুমার, অর্থাৎ অভিনেতার স্বাক্ষর। এভাবেই ৪৬ বছর পর পছন্দের নায়ক দিলীপ কুমারের অটোগ্রাফ পেয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন।