এবছরের শুরুতেই বিয়ের সানাইয়ের শব্দে ভরে গিয়েছে টলিপাড়া। যেন বিয়ের করার ঝড় উঠেছে চারিদিকে, আর টলিপাড়াও বাদ নেই সেই দৌড়ে। গত বছরের শেষেই উত্তম কুমারের নাতি তথা অভিনেতা গৌরব চট্টোপাধ্যায় ও অভিনেত্রী দেবলীনা কুমারের বিয়ে হয়েছে। তারপর বছরের শুরুতেই বিয়ে করেলেন টেলিভিশন অভিনেত্রী ত্বরিতা চ্যাটার্জী (Twarita Chatterjee)ও অভিনেতা সৌরভ ব্যানার্জী (Sourav Banerjee)। দুজনের বিয়ের একাধিক ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রকাশ্যে আসতেই ভাইরালও হয়েছিল বেশ।
গাঢ় লাল রঙের বেনারসি আর গা ভর্তি সোনার গয়না নিয়ে একেবারে বাঙালি বধূর সাজে সেজে সৌরভের সাথে বিবাহ বন্ধনে বাঁধা পড়েছেন ত্বরিতা। সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য কিছু কম যাননি, ধুতি পাঞ্জাবি পরে সাবেকি বাঙালি বরের পোশাকে বসে ছিলেন বিয়েতে। বিয়ের দিন এক সে এক বাঙালি তারকারাও হাজির হয়েছিলেন।
কিন্তু একি! সদ্য বিয়ে হলেও এরই মধ্যে গায়েব হাতের শাঁখা পলা। কি এমন হল যে বিয়ের পরেই হাতের শাঁখা-পলা খুলে ফেললেন ত্বরিতা! আসলে বিয়ের পর প্রথম বিয়ে বাড়ির নিমন্ত্রনে সৌরভের সাথে হাজির হয়েছিলেন ত্বরিতা। সেখান থেকে কিছু ছবিও শেয়ার করেছেন অনুগামীদের উদ্যেশ্যে। আর সেই ছবিতেই দেখা যাচ্ছে ত্বরিতার হাতের শাঁখা-পলা গায়েব হয়ে গিয়েছে। অবশ্য এদিন সিঁথিতে সিঁদুর ছিল ত্বরিতার।
হিন্দু বাড়ির বৌ হয়ে বিয়ের পরের দিনই কেন শাঁখা-পলা খুলে ফেললেন অভিনেত্রী! এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় অভিনেত্রীকে। অনেকেই এই বিষয়টিকে ভালো চোখে মেনে নিতে পারেননি। যার জেরে অনেকেই কটূক্তিও করেছিলেন ত্বরিতাকে। কিন্তু সেসবে পাত্তা দেননি অভিনেত্রী, বরং কটাক্ষের মোক্ষম জবাব দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়াতেই।
কটাক্ষকারীদের উদ্যেশ্যে একটি পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী। পোস্টে ত্বরিতা লিখেছেন, ‘আমার ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা সকলের উদ্যেশ্যে এই কথা বলা। কেউ শাঁখা-পলা সিঁদুর নিয়ে জ্ঞান দেবেন না! আমি আমার এতো জ্ঞানী হতে চাইনা, গুণী হলেই চলবে’।