স্পষ্টবাদী হিসাবে বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে যথেষ্ট নাম রয়েছে অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra)-এর। বরাবরই অকপটে নিজের মনের কথা মুখে বলতেই ভালোবাসেন অভিনেত্রী। যার জেরে মাঝে মধ্যেই ধেয়ে আসে নানান কুমন্তব্য। কিন্তু সেসব নিয়ে কখনই মাথা ঘামান না অভিনেত্রী। বরং জীবনের প্রতিটা মুহুর্তই নিজের শর্তে বাঁচেন অভিনেত্রী। তাই নিজের জীবনটাকে চুটিয়ে উপভোগ করতে যখন যেটা করতে মন চায় সেটাই করেন শ্রীলেখা। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও নিয়মিত অ্যাক্টিভ থাকেন অভিনেত্রী।
যার ফলে তাঁর মধ্যে তথাকথিত লক্ষীমন্ত মেয়ের মিল খুঁজে পান না অনেকেই।এমনিতে বরাবরই মানুষের ওপরে কোন কিছু চাপিয়ে দেওয়ার ঘোর বিরোধী শ্রীলেখা। গতকাল ছিল লক্ষ্মী পুজো। কোজাগরী লক্ষ্মী পূর্ণিমায় যখন বাংলার ঘরে ঘরে বাজছে শাঁখের আওয়াজ, উলুধ্বনি তখনই জ্যান্ত লক্ষ্মী ঠাকুরের (Devi lakshmi) সাজে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social media) ধরা দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। অভিনেত্রীর পরনে ছিল দুধ সাদা আর লাল এর মিশেলে সোনালী জরির কাজ করা শাড়ি আর গা ভর্তি সোনার গয়না।
সিঁথি রাঙানো সিঁদুরে আর পায়ে আঁকা আলতা। তাঁর এক হাতে ছিল ধানের ছড়া অন্য হাতে কখনো ধরেছেন পদ্মফুল আবার কখনো বরাভয় মুদ্রা। সোনার গয়নার ওপরেই এদিন গলাতেও পড়েছিলেন পদ্ম ফুলের মালা। এদিন কোজাগরি লক্ষী পূজন শুভেচ্ছা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করেছিলেন শ্রীলেখা।দেবী লক্ষ্মীর সাজে অভিনেত্রীর এই অপরূপ রূপ দেখে মুগ্ধ হয়েছেন সকলে। প্রশংসার ভরিয়ে দিয়েছিলেন অসংখ্য অনুরাগী।
সেখানেই পরিচালক অনীক দত্ত মজা করে লিখেছিলেন ‘ওসব কামনা বাসনায় কিছু হবে না। ক্র্যাশ ছাড়ুন লক্ষ্মীদেবী।’ উত্তরের অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র লিখেছিলেন ক্র্যাশ নাকি ক্যাশ। ক্যাশ হলে তুমি দাও। পাল্টা জবাবে অনীক দত্ত লিখেছিলেন ‘ক্যাশ, যা বাবা ,তোমার লক্ষীর ভান্ডার থেকে এত লক্ষ্মী দিচ্ছ। আমি কি দোষ করলাম। উত্তরে শ্রীলেখার রসিকতা ‘আমার লক্ষী ভান্ডার নেই গো সব আছে কালীঘাটে’ ।
শ্রীলেখার শেয়ার করা এদিনের ছবিতে দেখা যাচ্ছে নিচেই তার পায়ের কাছে থালা ভরা ধান আর সাথে টাকার নোট সাজানো রয়েছে। দেবী লক্ষ্মীর সাজে অভিনেত্রীর এই ফটোশুট দেখে একজন মজা করে লিখেছেন ‘দু-চারটে নোট দিন মা পিঙ্ক গুলো’ । উত্তরে তাকে আশীর্বাদ দিয়ে তথাস্তু লিখেছেন শ্রীলেখা। অন্যদিকে একজন লিখেছেন তাকে দেখতে নাকি একেবারে লক্ষ্মী সরস্বতীর বর পুত্রীর মতো লাগছে।
এছাড়া আগেই শ্রীলেখার শেয়ার করেছিলেন আরও দুটি ছবি। যার একটিতে দেখা যাচ্ছে অভিনেত্রীর সিঁথিতে সিঁদুর আর একটাতে দেখা যাচ্ছে আলতা পরা পায়ের ছবি। সেই ছবির ক্যাপশনে অভিনীত লিখেছিলেন ‘চ্যানেলে দেখানোর মতো পুজো হয় না আমার বাড়িতে। আমার লক্ষীমন্ত মা করতেন। সেই ধারাকে সম্মান জানিয়ে নিজের মতোন ছোট্ট পুজো করি বাড়িতেই। আমার মা ছিলেন আমার লক্ষ্মী। তবে একটা শ্যুট করেছি। যেটা আজ প্রকাশ্যে আসবে। জানাবো কোথায় কখন. ছবি দেখে ভাববেন না আবার দ্বিতীয় বিয়ে করলাম’।