ভারতীয় ক্রিকেটের (Cricket) অন্যতম সেরা নক্ষত্র সৌরভ গাঙ্গুলি (Sourav Ganguly) খেলা ছেড়েছেন বেশ অনেকবছর হল। কিন্তু তবুও তার জনপ্রিয়তায় বিন্দু মাত্র ভাটা পড়েনি। দেশে বিদেশে ক্রিকেটের মহারাজা হিসেবে বাঙলার ছেলে সৌরভ গাঙ্গুলিকেই সকলে চেনে। লডসে তার জামা ঘোরানো, বা ঠান্ডা মাথায় ছক্কা হাকিয়ে স্টেডিয়ামের বাইরে বল পাঠিয়ে দেওয়া দাদাকেই মানায়।
খেলা ছেড়েছেন বেশ কিছুদিন হল। তার ব্যক্তিত্ব, কথাবার্তা, এবং সর্বোপরি তার কাজের কারণেই তিনি সকলের প্রিয় ‘দাদা’। খেলার মতোই সঞ্চালনাটাও জমিয়ে করেন সৌরভ। জি বাংলায় তার ‘দাদাগিরি’ (Dadagiri) এযাবৎকালে দর্শকদের অন্যতম প্রিয় রিয়েলিটি শো।
এই বয়সেও টানটান ফিগার তার, চেহারার লাবণ্য হার মানাতে পারে যেকোনোও অভিনেতাকেও, নানান বিজ্ঞাপনে তাকে দেখলেই বোঝা যায় অভিনয়েও মন্দ নন ‘দাদা’। এমন সুপুরুষ রুপোলী পর্দা কাঁপানোর ক্ষমতা যে রাখে তা বলাই বাহুল্য।
এই সব বিবেচনা করেই ‘২২ গজের মহারাজা’কে সিনেমায় নামার প্রস্তাব দিয়েছিলেন প্রয়াত কিংবদন্তী স্বয়ং ঋতুপর্ণ ঘোষ। কিন্তু এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। একটি সংবাদ মাধ্যমের বিশেষ সাক্ষাৎকারে সৌরভ জানান, আমাকে সিনেমায় অভিনয় করার কথা বলেছিলেন ঋতুপর্ণ ঘোষ। কিন্তু আমি এক কথাতেই নাকচ করে দিই। একদিন আমাকে ফোন করে ও বলে আমি একটা ছবি বানাতে চাই এবং সেখানে তুমি আমার হিরো হবে। আমি তো বলেই ফেলেছিলাম, পাগল হলে নাকি। ”
প্রস্তাব ফিরিয়ে বরং দাদা পরচালকের কাছে আবদার করেছিলেন, “তুমি আমার জন্য রান্না করো, আমি ডিনার করতে যাব”। আসলে একটানা কাজ সৌরভের এক্কেবারে না পসন্দ। আর তখন রমরমিয়ে চলছে টেলিভিশন, বিজ্ঞাপনের কাজ। তবে ঋতু-সৌরভের যুগলবন্দী হলে যে তা বাঙালির কাছে এক মাইলফলক হত তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।