বাংলা বিনোদন জগতের অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী হলেন কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (Koneenica Banerjee)। দীর্ঘদিনের অভিনয় জীবনে তাঁর সাবলীল অভিনয় দেখে বরাবরই মুগ্ধ হয়েছেন দর্শক। সম্প্রতি তিনি ব্যস্ত রয়েছেন আসন্ন সিনেমার প্রজাপতির নিয়ে। বাংলার দুই সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তী এবং দেব অধিকারী অভিনীত আসন্ন এই সিনেমায় মিঠুনের মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
শুরুটা হয়েছিল টেলিভিশনের পর্দায় ‘স্বপ্ন নীল’, এবং ‘এক আকাশের নীচে’র মতো ধারাবাহিকের হাত ধরে।দেখতে দেখতে ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি কাটিয়ে ফেলেছেন দুই দশকেরও বেশি সময়। দীর্ঘদিনের অভিনয় জীবনে একাধিক মেগা সিরিয়ালের পাশাপাশি কণীনিকা অভিনয় করেছেন বেশ কিছু সিনেমায়। দর্শকদের উপহার দিয়েছেন ‘আবার আসিব ফিরে’, ‘মুখার্জিদার বউ’, ‘হামি’ এর মতো সিনেমা।
তবে যে ছোটপর্দার হাত ধরে তাঁর অভিনয়ের হাতেখড়ি সেই ছোটপর্দায় তাঁকে শেষবার দেখা গিয়েছে স্টার জলসার জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘আয় তবে সহচরী'(Aye Tobe Sohochori)-তে। মাঝ বয়সি গৃহবধূ সহচরীর দুচোখ ভরা স্বপ্ন নিয়ে পড়াশোনা করে উচ্চশিক্ষিত হয়ে গোল্ডমেডেল পাওয়ার স্বপ্ন নিয়েশুরু হয়েছিল এই সিরিয়াল। সবমিলেই ভালোই চলছিল সব। কিন্তু হঠাৎ করেই ছন্দপতন।বাধ সাথে অভিনেত্রীর শারীরিক অসুস্থতা। তাই তিনি সিরিয়াল থেকে বিরতি নেওয়ার কদিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যায় সিরিয়াল।
তবে আবার কবে ছোটপর্দায় ফিরছেন তিনি সম্প্রতি ‘প্রজাপতি’র ট্রেলার-মুক্তিতে আজকাল পত্রিকার তরফে অভিনেত্রীর কাছে এই প্রশ্ন রাখা হলে কনীনিকার সপাট জবাব ছোট পর্দায় কাজের ইচ্ছেটাই নাকি নষ্ট হয়ে গিয়েছে তাঁর। কারণ হিসাবে অভিনেত্রীর জবাব ‘প্রথম পাঁচ মাস ধারাবাহিক চিত্রনাট্য মেনে চলে। যেই টিআরপি তলানিতে ঠেকে তখনই গল্পের গরু গাছে ওঠে। ও ভাবে কাজ করতে আর পারব না।’
সেইসাথে তিনি খুব স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন ‘ছোট পর্দায় যদি আমায় নিতেই হয় তা হলে প্রযোজক-পরিচালককে আমার শর্ত মানতে হবে। তাঁরা আমার সঙ্গে সহযোগিতা করলে তবেই কাজ করার কথা ভাবব। না হলে ১২-১৪ ঘণ্টা কাজ করার মতো শারীরিক পরিস্থিতি আমার নেই। ছোটপর্দার পিছনে অত খাটবও না আর’।এছাড়া এদিন সহচরী ছাড়ার কারণ জানিয়ে অভিনেত্রী বলেন মন না চাইলেও রোজ তাকে ‘সহচরী’র শুটিংয়ে যেতে হত। এই সিরিয়াল থেকে কিছুতেই বেরোতে পারছিলেন না তিনি।
সেসময় রোজ শ্যুটে যাওয়ার আগে চোখ জল চলে আসত তাঁর। তারপরেই শারীরিক অসুস্থতা তার কাছে যেন সাপে বড় হয়ে আসে। পর্দার সহচরীর কথায় ‘ঈশ্বর যেন এ ভাবেই বাঁচালেন’। অস্ত্রোপচারের পরে কাজ হাতছাড়া হওয়ার জন্য চিকিৎসক ক্ষমা চাইলে অভিনেত্রী নাকি বলেছিলেন ‘আপনারা আমার কত বড় উপকার করলেন নিজেই জানেন না! জোর করে, ইচ্ছের বিরুদ্ধে স্টুডিয়োয় যেতে হচ্ছিল। আপনাদের সহযোগিতায় রোজের অপছন্দের কাজ থেকে মুক্তি মিলল।’