• Srabanti Chatterjee Viral Video শ্রাবন্তী
  • অনুরাগের ছোঁয়াঅনুরাগের ছোঁয়া
  • নুসরত জাহান নুসরত
  • ফুলকিফুলকি
  • শুভশ্রীশুভশ্রী
  • ইচ্ছে পুতুলইচ্ছে পুতুল
  • নিম ফুলের মধুনিম ফুলের মধু
  • কার কাছে কইকার কাছে কই

ভাইয়ের খোঁজও নিত না! প্রচারের লোভে ‘মিথ্যে’, হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন প্রয়াত সন্দীপ চৌধুরীর স্ত্রী

দেখতে দেখতে দু’সপ্তাহ হয়ে গেল শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন নামী পরিচালক অঞ্জন চৌধুরীর (Anjan Chowdhury) ছেলে সন্দীপ চৌধুরী (Sandip Chowdhury)। গত ৩ জানুয়ারি প্রয়াত হয়েছেন তিনি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৪ বছর। ভাইয়ের অকালমৃত্যুর পর স্বাভাবিকভাবেই প্রচণ্ড ভেঙে পড়েছিলেন দিদি চুমকি চৌধুরী এবং বোন রিনা চৌধুরী (Rina Chowdhury)।

এমনকি রিনা এও দাবি করেছিলেন, ভাই যে অসুস্থ সেই বিষয়ে কিছু জানতেনই না। এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন সন্দীপের স্ত্রী বিদিশা চৌধুরী (Bidisha Chowdhury)। গত ১৩ জানুয়ারি, শুক্রবার পারলৌকিক ক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে সন্দীপের। এরপরই সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খোলেন বিদিশা।

   

Sandip Chowdhury

ননদ রিনার অভিযোগের জবাবে সন্দীপ-পত্নী বলেন, রিনা এমন কথা কেন বলছেন তিনি বুঝতে পারছেন না। গত ৬ মাসে একবারও ফোন করেননি রিনা। এমনকি ভাইয়ের কোনও খোঁজ খবরও নিতেন না। বরং দিদি চুমকি চৌধুরী সারাক্ষণ ভাইয়ের বউয়ের পাশে ছিলেন।

বিদিশার কথায়, রিনার স্বামী একদিন হাসপাতেল এসে সন্দীপকে দেখে গিয়েছিলেন। দিদি এবং স্বামী দু’জনের কাছ থেকে ভাইয়ের খবর পেয়েছিলেন রিনা। কিন্তু তা সত্ত্বেও শুধুমাত্র প্রচার পাওয়ার জন্য এমন একটা মন্তব্য করলেন রিনা! অবাক সন্দীপ-ঘরণী।

Chumki Chowdhury Rina Chowdhury Brother Sandip Chowdhury passes away

তবে ভাই-বোনের মধ্যে যে সম্পর্ক খারাপ ছিল কিংবা মনোমালিন্য ছিল তা কিন্তু নয়। কখনও তর্ক-বিতর্কও হয়নি তাঁদের। তবে বিদিশা বলেন, ‘অগ্নিশিখা’ ধারবাহিকটি চলাকালীন একটা ঘটনা ঘটে। সেই ধারাবাহিকটি রিনা এবং সন্দীপ দু’জনেই লিখছিলেন। তবে আচমাকি বাদ পড়েন রিনা। ভেতরে জমে থাকা রাগ থেকেই কি একথা বলেছেন রিনা? বিদিশা জানান, এসব কথা ভাবার মতো পরিস্থিতিতে নেই তিনি। স্বামীর প্রয়াণের পর ছেলের পড়াশোনার সমস্ত দায়িত্ব তাঁর কাঁধে এসে পড়েছে।

জানিয়ে রাখি, নামী পরিচালক অঞ্জন চৌধুরীর মেজ সন্তান ছিলেন সন্দীপ। বোন রিনা ভাইয়ের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে কাঁদতে কাঁদতে জানান, সম্পূর্ণ বিষয়টির ব্যাপারে তাঁরা একেবারে অন্ধকারে ছিলেন। একটি ধারাবাহিকের শ্যুটিং চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন সন্দীপ। এরপর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রিনার কথায়, বৌদি বিদিশাই হাসপাতালে ভর্তি করান দাদাকে। অঞ্জন-কন্যা জানান, ভাই একেবারেই নিজের যত্ন নিতেন না এবং যত্ন পেতেনও না। চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কথা বললে বলতেন, কাজের চাপ রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই সন্দীপের প্রয়াণের পর রিনার এমন মন্তব্য শুনে অনেক জল্পনা তৈরি হয়েছিল।