বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তথা প্রথম সারির নায়িকাদের মধ্যে একজন হলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া (Priyanka Chopra)। তাঁর অভিনয় দক্ষতা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। আর সেই অভিনয় দিয়েই তিনি জয় করে নিয়েছেন সকলের মন। ২০০২ সালে তিনি মিস ওয়ার্ল্ড হন। তারপর বলিউডে পদার্পন হয় “দ্য হিরো” ছবি দিয়ে। সেই ছবিতে তিনি সানি দেওয়ালের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন।
তবে, সাধারণ মানুষ হোক বা সেলিব্রেটি সকলের জীবনেই সুখ-দুঃখ থাকে। আর সেই নিয়েই এগিয়ে যেতে হয় সবাইকে। ঠিক তেমনই বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার জীবনেও এমন মুহূর্ত এসেছিল যেই সময় তিনি খুবই ভেঙে পড়েছিলেন। সালটা ২০১৬, অভিনেত্রী তখন নিউইয়র্ক চলে এসেছিলেন। সেই সময়টা তাঁকে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল। একদিকে তাঁর বাবার মৃত্যুর যন্ত্রনা আর অন্যদিকে তাঁর ব্রেকআপ এই দুই নিয়েই তিনি খুবই আপসেড হয়ে পড়েছিলেন।
যার ফলে তিনি একটা সময় নিজেকে পুরোপুরি ভাবে বাইরের জগত থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিলেন। সেইসময় অভিনেত্রী শুধু তাঁর টেলিভিশন শো কোয়ান্টিকর এর শ্যুটিং এর জন্যই বাইরে বেরোতেন। এছাড়া বাকি পুরোটা সময়ই তিনি নিজের মনের সঙ্গে লড়াই করতেন। যারফলে তাঁর ৯ কেজি ওজন বেড়ে গিয়েছিল। অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এতটাই হতাশা ও শোকের মধ্যে চলে গিয়েছিলেন যে, তিনি তাঁর মা এর কথাও বিশ্বাস করতে পারেননি। এমনকি দিনের পর দিন রাতে তিনি না ঘুমিয়েই কাটিয়ে দিয়েছেন।
অভিনেত্রী নিজেই একসময় তাঁর পুরোনো দিন গুলির কথা স্মৃতিচারণ করেছিলেন। এছাড়াও তাঁর কাজের জগতের অন্য একটি অধ্যায়েও তাঁকে নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। আজ তাঁর এত নাম প্রতিপত্তি তা কিন্তু খুব সহজেই তিনি পাননি। প্রিয়াঙ্কার এখনও মনে রয়েছে যে, তিনি প্রথমবার যখন বলিউডে কাজের জন্য গিয়েছিলেন তখন পরিচালক তাঁকে বক্ষদেশ দেখিয়ে কিছু একটা করার কথা বলা হয়েছিল। এমনকি তিনি প্রিয়াঙ্কার নিতম্ব ঠিক করার কথাও বলেন। সেইজন্য তিনি ডাক্তারেরও খোঁজ দেন প্রিয়াঙ্কাকে। আর সেই সকল ঘটনাই প্রিয়াঙ্কা সম্প্রতি “আনফিনিসড” বই এর মাধ্যমে সকলের কাছে তুলে ধরেছেন।