আজকালকার দিনেও কিছু কিছু মানুষের মন পরাধীনতার শিকলে বন্দি থেকে গিয়েছে। তাঁরা এখনও মানে জাতপাতের ভেদাভেদ। কিন্তু ভগবানের কাছে জাত-পাত বলে কিছুই হয় না। ভগবানের কাছে শুধু একটাই শব্দ সেটা হল মানুষ। আর সেটাই তো ঠিক। সব কিছুর উপরে তো মানবিকতা।
আর সেটাই আজকে প্রমান করে দিল বারাসতের কালীকৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয়। জাত-পাতের গোড়ামিকে দূরে সরিয়ে রেখে দেবীর আরাধনায় সামিল হল হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে সকল ছাত্রী। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমী সেনগুপ্ত বলেন যে, তাঁরা বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের সকল বাঁধন থেকে মুক্ত হেয়ার শিক্ষা দেন। তাঁরা যাতে মানুষের মতো মানুষ হতে পারেন সেই শিক্ষাই তাঁরা দেন।
এছাড়া তিনি আরও বলেন যে, এবছর করোনা আবহে এমনিতেই লোকজন কম আর তাছাড়া এবারের পুজোয় কোনো যজ্ঞের আয়োজন নেই। আর তাই নেই ঠাকুর মশাইও। আর যেহেতু শিক্ষিকারা ছাত্রীদের অন্য রকম ভাবেই গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন সেই কারণেই এবার বিদ্যালয়ের হিন্দু, মুসলিম, আদিবাসী ছাত্রী সহ খ্রিস্টান শিক্ষিকা দিয়েই বাগদেবীর আরাধনা করেছেন।
ছক ভাঙা নিয়ম থেকে বেরিয়ে যেভাবে তাঁরা দেবীর পুজো করেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জানিয়েছেন যে, এবার থেকে প্রতি বছরই তাঁরা এভাবেই দেবীর বন্দনা করবেন। সত্যিই আশা করা যায় যে, আগামী দিনে সকল মানুষই এভাবেই বারাসতের কালীকৃষ্ণ স্কুলের মতন করে ভাববেন। আর সেটা হলেই একসময় পৃথিবী থেকে ধর্মের ভেদাভেদ নামক শব্দটা হারিয়ে যেতে পারবে বলেই আশা রাখা যায়।