• Srabanti Chatterjee Viral Video শ্রাবন্তী
  • অনুরাগের ছোঁয়াঅনুরাগের ছোঁয়া
  • নুসরত জাহান নুসরত
  • ফুলকিফুলকি
  • শুভশ্রীশুভশ্রী
  • ইচ্ছে পুতুলইচ্ছে পুতুল
  • নিম ফুলের মধুনিম ফুলের মধু
  • কার কাছে কইকার কাছে কই

ঠকিয়েছিলেন দিলীপ কুমার, কিশোর কুমারও সময় দেননি! এক বুক দুঃখ নিয়ে ৩৬ বছরে প্রয়াত হন মধুবালা

নিখুঁত সৌন্দর্য বলতে যা বোঝায় বলিউডের গোল্ডেন যুগের অভিনেত্রী মধুবালা (Madhubala) ছিলেন ঠিক তাই। তার রূপের প্রেমে আজও মগ্ন কতশত প্রেমিকেরা। অভিনেত্রীর রূপের চর্চা যেমন ছিল, তেমনি ছিল তার সম্পর্ক নিয়েও চর্চা। বলিউডের সুন্দরী অভিনেত্রী হওয়ায় তার প্রেমে কম পুরুষ পড়েনি। একাধিক সম্পর্কে নাম জড়িয়েছিল অভিনেত্রীর।

তার মায়াবী দুটো টানা টানা চোখ, প্রাণ খোলা হাসি, অপরিসীম ব্যক্তিত্বর ডুপলিকেট গত কয়েকদশকে আর মেলেনি৷ তার সৌন্দর্যের প্রশংসায় পঞ্চমুখ আসমুদ্রহিমাচল। তবে এত সুন্দরী অভিনেত্রীর জীবন ট্র‍্যাজেডিতে ভরপুর। মাত্র ৩৬ বছর বয়সেই এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যান মধুবালা৷

   

Madhubala মধুবালা

কত শত পুরুষ তাকে প্রস্তাব দিত সেই সময় কিন্তু মধুবালা সেদিকে ঘুরেও তাকাননি। তিনি জান প্রাণ দিয়ে ভালোবাসতেন অভিনেতা দিলীপ কুমারকে। তবে তাদের প্রেমে বড় হয়ে দাঁড়িয়েছিল ইগোর লড়াই। সেই লড়াইয়ের জেরে শেষমেশ আর প্রেমটা টেকেনি তাদের৷ এই মধুবালার এই অসম্পূর্ণ প্রেমকাহিনী হার মানাবে সিনেমার গল্পকেও।

Madhubala মধুবালা

১৯৩৩ সালে ভ্যালেন্টাইন্স ডে অর্থাৎ ভালোবাসার এই দিনেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন মধুবালা। দিলীপ কুমারের সঙ্গে দীর্ঘ ৬ বছরের সম্পর্কে ইতি টেনে তার ঠিক তিন বছর পর ১৯৬০ সালে কিশোর কুমারকে বিয়ে করেন মমতাজ জাহান বেগম দেহলভী ওরফে মধুবালা।

মধুবালা,দিলীপ কুমার,সঞ্জয় দত্ত,কিশোর কুমার,madhunala,dilip Kumar,sanjay dutt,kishore Kumar

কিন্তু জীবনের শেষ সময় অনেকটা যন্ত্রণা আর কষ্টের মধ্যে দিয়ে কেটেছিল অভিনেত্রীর। মাত্র ৩৬ বছর বয়সেই অত্যন্ত বেদনাদায়কভাবে মৃত্যু হয়েছিল অভিনেত্রীর। যদিও জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বাঁচতে চেয়েছিলেন অভিনেত্রী। মৃত্যুর দিন পর্যন্ত শেষ ইচ্ছা ছিল বেঁচে থাকার। অভিনেত্রীর শেষ জীবনের কাহিনী হার মানাতে পারে যেকোনো সিনেমার দুঃখের গল্পকেও।

মধুবালা,দিলীপ কুমার,সঞ্জয় দত্ত,কিশোর কুমার,madhunala,dilip Kumar,sanjay dutt,kishore Kumar

শোনা যায় কিশোর কুমারও বিন্দু মাত্র সময় দিতেন না তার স্ত্রীকে। এরপর মধুবালার শারীরিক অবস্থার এতটাই অবনতি হয় যে বাড়িতে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন অভিনেত্রী। শয্যাশায়ী হবার পর আর উঠতে পারেননি মধুবালা। একটানা দীর্ঘ ৯ বছর শয্যাশায়ী থাকার পর যন্ত্রণা আর একবুক দুঃখ নিয়ে মারা যান অভিনেত্রী। মারা যাবার সময় অভিনেত্রীর মুখে বারবার শোনা গিয়েছিল ‘আমি বাঁচতে চাই’।