• Srabanti Chatterjee Viral Video শ্রাবন্তী
  • অনুরাগের ছোঁয়াঅনুরাগের ছোঁয়া
  • নুসরত জাহান নুসরত
  • ফুলকিফুলকি
  • শুভশ্রীশুভশ্রী
  • ইচ্ছে পুতুলইচ্ছে পুতুল
  • নিম ফুলের মধুনিম ফুলের মধু
  • কার কাছে কইকার কাছে কই

টাকার অভাবে সেজেছিলেন বাঁদর! আজ তিনি টলিউডের জনপ্রিয় পরিচালক রাজ চক্রবর্তী

এই মুহূর্তে টলিউড (Tollywood) ইন্ডাস্ট্রির প্রথমসারির জনপ্রিয় পরিচালকদের (Director) মধ্যে অন্যতম হলেন রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakraborty)। ক্যামেরার সাথেই তিনি সামলাচ্ছেন রাজনৈতিক দায়িত্ব। সময়ের সাথে সাথে দায়িত্বও বেড়ে চলেছে বর্তমান তৃণমূল বিধায়কের।

তবে সিনেমা, হোক কিংবা রাজনীতি পেশাদার জীবনের সমস্ত দিক বজায় রেখেও দিব্যি সময় কাটান ছেলে ইউভান (Yuvan) এবং স্ত্রী তথা অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলী (Subhashree Ganguly) সাথে। আর রাজের কথায় ‘আমি কাজপাগল মানুষ, চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে ছয় ঘণ্টা ঘুমোই। আর বাকি পুরোটাই কাজের মধ্যে থাকতে ভালবাসি, তার মধ্যে পরিবারকে সময় দিই’।

   

Raj Chakrabarty Subhashree Ganguly Yuvaan

নাম,যশ,খ্যাতি,অর্থ কোনো কিছুরই অভাব নেই রাজের জীবনে। তবে আজকের এই সাফল্য কিন্তু রাতারাতি আসেনি রাজ্যের জীবনে। একটা সময় ছিল যখন কেরিয়ারের শুরুতে ব্যাপক স্ট্রাগল করেছিলেন পরিচালক। আদতে হালিশহরের বাসিন্দা রাজ প্রথমদিকে অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে এসেছিলেন কলকাতায়।

সেসময় নিয়মিত থিয়েটার করতেন তিনি। কিন্তু থিয়েটার থেকে আয়ের তেমন উপায় ছিল না। সেই শুরুর দিন থেকেই রাজ পাশে পেয়েছিলেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষকে। সেসময় কলকাতায় ভাড়া বাড়িতে থেকেই দিন কাটত রাজ চক্রবর্তীর। সেসময় ওই বাড়িতে রাজের রুমমেট রুদ্রনীল। পুরোনো এক সাক্ষাৎকারে রাজ  জানিয়েছিলেন সেই সময় বাড়ি ভাড়া বাবদ তার প্রয়োজন ছিল ৩০০ টাকা।

Raj Chakraborty relation rumours before getting married with subhashree

কিন্তু সেই সময় ওই টাকাটাও ছিল না তার কাছে। হাতে কোনো কাজ না থাকায় রোজগারের পথও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল , ঠিক তখনই নাকি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন রাজের বন্ধু রুদ্রনীল। তিনিই রাজকে উপায় বাতলে দিয়ে সুযোগ করে দিয়েছিলেন একটি শোয়ে। সেখানে ৩০০ টাকার জন্য বাঁদর সেজেছিলেন রাজ। মাথা গোঁজার ঠাইঁ টুকু যাতে হাতছাড়া না হয় তাই বাধ্য হয়েই বাঁদর সেজেছিলেন তিনি।

এছাড়া একটা সময় জুনিয়র আর্টিস্ট হিসাবেও কম কোষ সহ্য করেননি রাজ। একবার একটা সীনে নাকি হাতে মশাল নিয়ে খালি পায়ে সাত-আটবার দৌড়াতে বলা হয়েছিল তাকে। ছুলে গিয়েছিল। পায়ের পাতা চুলে যাওয়ায় চটি চাইলে অসম্মানিতও  হতে হয়েছিল রাজ চক্রবর্তীকে। তাই এখন তিনি খেয়াল রাখেন তার সিনেমার সেটা জুনিয়র আটিস্টরা যেন অসম্মানিত না বোধ করেন।