সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে বলিউডের অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। ঋত্বিক রোশনের সঙ্গেও তার সম্পর্কের একাধিক গুঞ্জন শোনা যায়। সম্প্রতি পুলিশ ও আদালতের কাছে কঙ্গনার পাঠানো বেশ কিছু জমা মেইল জমা দিয়েছে ঋত্বিক।যা দেখে মনে করা যাচ্ছে, ঋত্বিক ও কঙ্গনার সম্পর্ক নিয়ে যা গুঞ্জন ছিল, তা শুধুমাত্র কঙ্গনার দিক থেকে একতরফাই ছিল।
জানা গিয়েছে, একটি মেইলে কঙ্গনা লিখেছেন, তার এসপারাগাস সিনড্রোম হয়েছে অর্থাৎ এ ধরনের মানুষ সবসময় কাল্পনিক সম্পর্কের বাঁচে। কঙ্গনার মেইল দেখে স্পষ্ট যে কঙ্গনার সারাক্ষণ মেইল পাঠিয়ে ঋত্বিককে উত্ত্যক্ত করতো সে।এক্ষেত্রে রিত্তিকের কোন দোষ ছিলনা।
তবে কঙ্গনার আইনজীবী রিজোয়ান সিদ্দিকীর তরফ থেকে বলা হয়েছে,’ হ্যাক করা হয়েছে কঙ্গনার মেইল। পাশাপাশি কঙ্গনাও অভিযোগ করেন, ধারাবাহিকভাবে তার ইমেইল হ্যাক করছেন হৃত্বিক। সে কারণে তাকে তার দুটো ইমেইল আইডি বন্ধ করে দিতে হয়েছে।
পাল্টা ঋত্বিক রোশনের আইনজীবী বলেছেন, ছয় মাস ধরে হৃত্বিককে হাজার হাজার মেইল পাঠিয়েছে কঙ্গনা। পুলিশের কাছে জমা দেওয়া ইমেইলগুলো থেকে দেখা যায় একটি ইমেইলে নিজের পোশাক ছাড়া ছবি পাঠিয়ে কঙ্গনা লিখেছেন,’ আমরা যখন প্রথমবার একসঙ্গে থাকবো এমন কিছুই তোমার জন্য অপেক্ষা করবে।’
এছাড়াও অন্য মেইলে কঙ্গনা লিখেছিলেন, ‘সকালে উঠে প্রথমে তোমার নাম গুগলে খুজি। দিন শুরু করার আগে যদি একটা নতুন ছবি দেখতে পাই, একটা নতুন কোনও ইন্টারভিউ, বা কোনও খবর! আশা করি এই রুটিন তাড়াতাড়ি শেষ হবে। তোমায় গুগলে না খুঁজে ফোন করে তোমার গলা শুনবো। তোমার সঙ্গে কথা বলে দিন শুরু করবো।’
2014 সালের 3 সেপ্টেম্বর কঙ্গনার পাঠানোর একটি মেইল হলো,’ এই মেইল গুলো পাঠানো খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছে। অন্য একটি মেইলে লেখা, আমার ‘অ্যাসপারাগাস সিনড্রোম’ হয়েছে। এ ধরনের মানুষ সবসময় কাল্পনিক সম্পর্কে বাঁচেন। কিছুদিন ধরেই তোমার সঙ্গে থাকছি বলে মনে হচ্ছে। ‘
তবে কঙ্গনার বান্ধবী দাবি করেন, ঋত্বিক নাকি নিজেই কঙ্গনাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন প্যারিসে। সেই দাবি খারিজ করে হৃত্তিক বলেন, সেই সময় তিনি প্যারিসেই ছিলেনই না তিনি। পরে তার আইনজীবী প্রমাণ হিসেবে হৃত্ত্বিকের পাসপোর্ট দেখিয়ে বলেন, ওই সময় সত্যিই প্যারিসে ছিলেননা হৃত্বিক রোশন।