বাংলার সিরিয়ালপ্রেমী দর্শকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি সিরিয়াল হল ‘ধুলোকণা’। এই ধারাবাহিকের বিপুল জনপ্রিয়তার সামনে এক সময় হেরে ভুত হয়ে গিয়েছিল ‘মিঠাই’ এবং ‘গাঁটছড়া’-র মতো বাংলার সেরা সিরিয়ালগুলি। বেঙ্গল টপারের মুকুট পর্যন্ত নিজেদের দখলে এনেছিল এই সিরিয়াল। কিন্তু সবটাই ছিল ক্ষণস্থায়ী।
ধারাবাহিকে লালন ফুলঝুরির বিয়ে নিয়ে যে উন্মাদনা তৈরি হয়েছিল বিয়ে মিটতেই তা ভ্যানিশ হয়ে গিয়েছে। এখন বেঙ্গল টপার হওয়া তো দূরের কথা, চ্যানেলের তরফে কোনরকম প্রোমো পর্যন্ত দেখানো হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে হাল ফেরাতে ধারাবাহিকের নতুন টুইস্ট আনছেন লেখিকা লীনা গাঙ্গুলী।ইতিমধ্যেই ধারাবাহিকে দেখা গিয়েছে ফুলঝুড়ির সর্বনাশ করতে মরিয়া চড়ুইয়ের মা চান্দ্রেয়ী তার বান্ধবী শ্রীরূপাকে ওড়িশায় গিয়ে লালনকে জলে ডুবিয়ে মারার প্ল্যান করেছিল।
এবার নিজের পাতা ফাঁদে ফেঁসে গেল চান্দ্রেয়ী নিজেই। শ্রীরূপা উল্টো চাল দিয়ে চান্দ্রেয়ীর চরম সর্বনাশ করতে কাজে লাগাচ্ছে তার মেয়ে চড়ুইকে। আসলে স্বনামধন্য নৃত্য শিল্পীর আড়ালে ওই মহিলা মেয়েদের দিয়ে নোংরা ব্যবসা করেন। এবার চড়ুই কেও তিনি সেই দলে টানছেন। আর সবটা জেনে মাথায় বাজ ভেঙে পড়েছে চান্দ্রেয়ীর। এখন সে চাইলেও কিছু করতে পারছে না।
এইভাবে লেখিকা আসলে বার্তা দিয়েছেন লোকের মেয়ের ক্ষতি করলে তা কিভাবে নিজের মেয়ের ওপর এসে পড়ে। কিন্তু তিনি কেন এমন করলেন তার তো টাকার অভাব নেই। এর পিছনেও রয়েছে একটি কারণ। আসলে ওনাকে ওনার স্বামী ও বিয়ের পর ওই ভাবেই বিক্রি করে দিয়ে গিয়েছিলেন। তাই এখন তিনি নিজে আড়ালে থেকে নিজের স্টুডেন্টদের দিয়ে ওই একই কাজ করার চেষ্টা করছেন।
শুধু তাই নয় ধারাবাহিকের সাম্প্রতিক ট্র্যাকে দেখা যাচ্ছে আরও একটি বিষয়। লালন কে হারিয়ে এখন হাসপাতালে সেবিকার কাজ করতে যাচ্ছে ফুলঝুরি। সেখানেও রয়েছে তার লড়াই। বড়লোক বাবা-মায়ের সন্তান হয়েও চাকরি পাওয়ার জন্য তাকে যেতে হচ্ছে নানান প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে। বাস্তব জীবনে এই চরম সত্যিটাই তুলে ধরেছেন লেখিকা। শুধু তাই নয়, ফুলঝুরি যে হাসপাতালে সেবিকা হয়ে কাজ করতে গিয়েছে, দেখা যাচ্ছে সেখানেই ভর্তি রয়েছেন লালন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সে কথা জানে না ফুলঝুরি।