• Srabanti Chatterjee Viral Video শ্রাবন্তী
  • অনুরাগের ছোঁয়াঅনুরাগের ছোঁয়া
  • নুসরত জাহান নুসরত
  • ফুলকিফুলকি
  • শুভশ্রীশুভশ্রী
  • ইচ্ছে পুতুলইচ্ছে পুতুল
  • নিম ফুলের মধুনিম ফুলের মধু
  • কার কাছে কইকার কাছে কই

৯০ কেজি ওজন! মাত্র চার মাসে ৩৫ কেজি কমিয়ে ‘সেক্সি’ ফিগারে সকলকে চমকে দিয়েছিলেন ভূমি

২০১৫ সালে ‘দম লাগা কে হাইসা’ (Dum Laga Ke Haisha) সিনেমার হাত বলিউডে পা রেখেছিলেন অভিনেত্রী ভূমি পেডনেকার (Bhumi Pednekar) । শুধু মাত্র সিনেমার চরিত্র সন্ধ্যা কে সাবলীভাবে ফুটিয়ে তুলতে প্রথম ছবিতেই রিস্ক নিয়ে ৩০ কেজি ওজন বাড়িয়েছিলেন নিজের। ৯০ কেজি ওজনের সেই নবাগতা ভূমি দেখেই ভ্রু কুঁচকে ছিলেন অনেকে। কিন্তু তারা সব বিদ্রুপের জবাব পেয়ে যান সিনেমা টি মুক্তির পর। আয়ুষ্মান খুরানার (Ayushmaan Khurana) মতো তুখোড় অভিনেতার পাশেও নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়েই সকলের নজর কাড়েন বাড়তি ওজনের ভূমি।

পরে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন চরিত্রের খাতিরে এই সিনেমায় অভিনয় করার আগে ৩০ কেজি ওজন বাড়িয়েছিলেন তিনি। আর তাই সেময় প্রতিদিন অভিনেত্রীর সকাল শুরুই হত বাটার চিকেন দিয়ে ব্রেকফাস্ট করে। তবে প্রথম ছবিতেই তিনি যে এত বড় একটা রিস্ক নিয়েছিলেন সেটা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। তবে অভিনেত্রীর কথায় ‘আমাকে টাকা দেওয়া হয়েছিল আমার ভালো লাগার দুটো কাজ করার জন্য। একটা অভিনয় এবং আরেকটা খাওয়া।’

   

তবে মজার বিষয় এই যে সিনেমার কাজ শেষ হতেই ওজন কমিয়ে ফের নিজের ‘হট অবতারে’ ফিরে আসেন অভিনেত্রী। শুনতে অবাক লাগলেও সেসময় একলাফে ৩৫ কেজি ওজন কমিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন ভূমি। তাঁর এই অসাধ্য সাধনের গল্প নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত করবে বডি ওয়েট নিয়ে দিনের পর দিন দুশ্চিন্তা করতে থাকা কিংবা থেকে নানান ব্যাঙ্গ বিদ্রুপের শিকার হওয়া অসংখ্য মহিলাদের।

ভূমি বিশ্বাস করেন তাঁর দেহের ওজন তাঁর হাসিখুশি জীবনের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে না। তিনি যেমন ঠিক তেমনভাবেই নিজেকে ভালোবাসেন তিনি। তাই তিনি মনে করেন এই ধারণাই সকলের হওয়া উচিত।কারণ তাঁর মতে বাড়তি ওজন নিয়ে অনেকেই নানা রকম ভুল ধারণা পোষণ করে থাকেন। সেটা থেকে সকলের বেরিয়ে আসা উচিত।

এবিষয়ে ভূমি জানান তিনি নিজে যখন মোটা ছিলেন তখনও তাঁর নিজেকে ভালো লাগতে। তাঁর কথায় ‘মোটা হয়ে মোটেই খারাপ লাগেনি। এছাড়া আমি যখন মোটা ছিলাম তখনও ছেলেরা আমার দিকে তাকাতো।’ তাই সবশেষে অভিনেত্রীর কথায় বলতেই হয় ‘ অন্য মানুষ তোমাকে কী ভাবে দেখে, তার থেকেও বেশি জরুরি তুমি নিজেকে কী ভাবে দেখতে চাও।’