• Srabanti Chatterjee Viral Video শ্রাবন্তী
  • অনুরাগের ছোঁয়াঅনুরাগের ছোঁয়া
  • নুসরত জাহান নুসরত
  • ফুলকিফুলকি
  • শুভশ্রীশুভশ্রী
  • ইচ্ছে পুতুলইচ্ছে পুতুল
  • নিম ফুলের মধুনিম ফুলের মধু
  • কার কাছে কইকার কাছে কই

ধসে পড়ল মহাকাশ গবেষণার টেলিস্কোপ Arecibo, চিন্তায় পুরো বিজ্ঞানী মহল

এমনিতেই ২০২০ বছরটা ভালো নয় কারোর জন্যই। এবার মঙ্গলবার রাতে দুর্ঘটনাবশত ধসে পড়ল পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ (Telescope) যা Arecibo Observatory পূর্ত রিকো তে অবস্থিত। ধসে পরে পুরোপুরি ভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে টেলিস্কোপটি।  প্রায় ৪৫০ মিটার উচ্চতা থেকে ভেঙে পড়েছে টেলিস্কোপটি। টেলিস্কোপটি ভেঙে পড়ায় গভীর শোকের মধ্যে রয়েছে গোটা বিজ্ঞানী মহল।

   

এই টেলিস্কোপ দিয়েই মহাকাশের নানান তথ্য থেকে শুরু করে পৃথিবীর বাইরের এলিয়ান গ্রহ, গ্রহাণু ও উল্কা পিন্ডের পর্যবেক্ষণ চলত। মঙ্গলবার এই টেলিস্কোপের গোটা টাওয়ারটি ধসে পরে যার ফলে পর্যবেক্ষণের কাজ পুরোপুরিভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর আগেও নভেম্বর মাসে এন্টেনার একটি তার বিচ্ছন্ন হয়ে গিয়েছিল যার ফলে এন্টেনাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। কিন্তু এবার গোটা ডিশ অ্যান্টেনাই ভেঙে পড়েছে।

টেলিস্কোপটি ভেঙে পড়ার ফলে দেশ তথা পৃথিবীর যে কত বড় ক্ষতি হয়ে গেল তা সাধারণ মানুষ সেভাবে বুঝতে না পারলেও বিজ্ঞানীরা ভালোই বুঝতে পারছেন। এই দুর্ঘটনার কথা শুনে আবহাওয়াবিদ থেকে শুরু করে বহু বিজ্ঞানীর চোখে জল এসে গেছে। ১৯৬০ সালে  এই বিশাল টেলিস্কোপটির কাজ শুরু হয়েছিল, সম্পূর্ণ হতে লেগেছিল ৩ বছরের দীর্ঘ সময়। তারপর থেকে বহুবার মহাজাগতিক বিপদ যেমন আস্টেরয়েড, উল্কার হাত থেকে বাঁচার জন্য আগামী সতর্কতা পাওয়া গেছেই টেলিস্কোপের জন্যই।

এমনকি জানলে হয়তো অবাক হবেন, জেমস বন্ড সিনেমার গোল্ডেন আই ছবির শুটিং হয়েছিল এই এন্টেনায়। যে অ্যান্টেনা ভেঙে পড়েছে তার ওজন ছিল প্রায় ৫.৪৪ লক্ষ কেজি। এই টেলিস্কোপটিতে মোট দুটি বিশালাকৃতি লেন্স ছিল। একটি ছিল ৩৬৫ ফুট উচ্চতায় অন্যটি ছিল ২৬৫ ফুট উচ্চতায়। এখনো পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী মোট ৮৯ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে টেলিস্কোপটি ভেঙে পড়ে। সাথে পৃথিবীর ও বিজ্ঞানের যে ক্ষতি হল তা তো রয়েছেই।