অজয় দেবগন (Ajay Devgan) বলিউডের এই নামটা এখন সকলের কাছেই পরিচিত। গোলমাল থেকে সিংহম, একাধিক সুপারহিট ছবিতে আরো অভিনয় মন কেড়েছে দর্শকদের। ইন্ডাস্ট্রিতে তিন দশকেরও বেশি সময় অতিক্রম করে ফেলেছেন অজয় দেবগন। আজ প্রথম সারির অভিনেতাদের মধ্যে একজন হিসেবে গণ্য হন তিনি। তবে শুরুটা এমন ছিল না! একসময় বলিউডের বড়োসড়ো অভিনেতাদের থেকে অপমানিত হয়ে ছিলেন অভিনেতা।
শুরুর দিকে গায়ের রং চাপা হবার কারণে বহুবার নায়কের চরিত্র থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল অভিনেতাকে। কলেজের সময় থেকেই দুইটি বাইক বা ঘোড়া একসাথে চালাতে পারতেন অজয় দেবগন। সেই দৃশ্যও ছবিতে দেখা গিয়েছে একাধিকবার। তবে প্রথমদিকে অভিনয়ের দক্ষতা থাকলেও সিনেমার মূল চরিত্র পাননি অজয় দেবগন।
সালটা ১৯৯১, ‘ফুল অর কাটে (Phool Aur Kante)’ ছবি দিয়েই বলিউডের ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন অজয় দেবগন। সেই একই সময় অনিল কাপুর ও শ্রীদেবী মতো জনপ্রিয় তারকাদের ছবি লামহে মুক্তি পেয়েছিল। তবে জনপ্রিয় তারকাদের টেক্কা দিয়ে সাফল্য অর্জন করে নিয়েছিল অজয় দেবগনের প্রথম ছবি। তবে প্রথম ছবি সফল হলেও অভিনেতা হিসেবে সেভাবে মর্যাদা পাননি তিনি।
প্রথম ছবির পর সংগ্রাম শক্তিমান কানুন বেদরদী ইত্যাদি একাধিক ছবিতে কাজ করেন। কিন্তু কোনো ছবিতেই নায়কের ভূমিকায় বা বিশেষ চরিত্র ভূমিকায় দেখা যায়নি তাকে। মূলত মারপিটের দৃশ্যের জন্যই ব্যবহার করা হয়েছিল তাকে এই ছবিগুলিতে। তবে এরপর পরিচালক মহেশ ভাট এর সাথে পরিচয় হয় অভিনেতার। তারপরেই ঘুরে যায় ভাগ্যের চাকা!
মহেশ ভাট পরিচালিত যখন ছবিতে অভিনয় করে জাতীয় পুরস্কারে সম্মানিত হন অজয় দেবগন। এরপর থেকে একের পর এক ছবির অফার আসতে থাকে আর সেগুলি সুপারহিট হওয়ায় কোনদিন পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি অভিনেতাকে। বলিউডে সফলতা পাবার পর করিশ্মা কাপুর ও রাভিনার সাথে ডেট করেন অজয়। তবে সেই সম্পর্ক টেকেনি। শেষে ১৯৯৯ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি কাজলকে বিয়ে করেন অজয় দেবগন। সেই থেকে এখনো স্ত্রী সন্তান নিয়ে সুহি দাম্পত্য উপভোগ করছেন অজয় দেবগন।