বাংলা সিরিয়ালের (Bengali Serial)অত্যন্ত পরিচিত মুখ নবনীতা মালাকার (Nabanita Malakar)। দেখতে দেখতে ইন্ডাস্ট্রিতে দীর্ঘ আট বছর পার করে ফেলেছেন এই মিষ্টি অভিনেত্রী। যদিও এখন জি বাংলার নতুন সিরিয়াল ‘নিম ফুলের মধু’ (Num Phuler Modhu)-তে তার চরিত্রটি মোটেই মিষ্টি নয়। দর্শকদের কথায় একেবারে নিমপাতার মতোই তেতো নবনীতা অভিনীত এই তিন্নি চরিত্রটি।
এই সিরিয়ালে সেকেন্ড লীড তথা খলনায়িকার চরিত্রে যাচ্ছে জনপ্রিয় এই টেলি অভিনেত্রীকে। দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ারে বেশিরভাগ সময়েই পর্দার তিন্নি অভিনয় করেছেন পজেটিভ চরিত্রে। ২০১৫ সালে কালার্স বাংলায় ‘আপনজন’ ধারাবাহিকে হাত ধরে প্রথমবার অভিনয় হাতেখড়ি হয়েছিল তার। পরবর্তীতে অভিনয় করেছেন ‘পুণ্যি পুকুর’, ‘মনসা’, ‘মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যে’, ‘মঙ্গল চণ্ডী’র মতো বেশ কিছু জনপ্রিয় মেগা সিরিয়ালে।
তবে এই ধারাবাহিকগুলির মধ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিভিন্ন ধরনের পজিটিভ শেডের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল নবনীতাকে। দীর্ঘ দিনের ক্যারিয়ারের ইতিপূর্বে মাত্র একটি সিরিয়ালেই খলনায়িকা চরিত্রে দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রীকে। জী বাংলার ‘এই ছেলেটা ভেলভেলেটা’তে খলনায়িকা ঐশ্বর্যের চরিত্রে অভিনয় করে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তিনি।
তবে টিভির পর্দায় অভিনেত্রীকে শেষবার দেখা গিয়েছে ‘সাগর জ্যোতি’ সিরিয়ালের মুখ্যচরিত্রে। এই সিরিয়ালের পর মনের মতো চরিত্র না পেয়ে প্রায় ন’মাস বসে ছিলেন নবনীতা। কারণ বরাবরই তিনি খলনায়িকা কিংবা সেকেন্ড লীডের মতো চরিত্রে অভিনয় করা এড়িয়ে যেতে চেয়েছেন। কারণ তিনি টাইপকাস্ট হওয়ার ভয় পান।
কিন্তু এবার জি বাংলার মতো এমন একটা নামী চ্যানেল থেকে একটু আলাদা শেডের খলনায়িকা চরিত্র তথা সেকেন্ড লীডের অফার আসায় আর কিছুটা পরিবারের আর্থিক অবস্থার কথা চিন্তা করে এই তিন্নি চরিত্রে অভিনয় করছেন নবনীতা। সাগর জ্যোতি শেষ হওয়ার পর সম্প্রতি ইউটিউব চ্যানেল টলি টাইমে খোলামেলা সাক্ষাৎকারে বসেছিলেন অভিনেত্রী।
সেখানেই তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন এখন তার বাবা-মা প্রায়ই অসুস্থ থাকেন তাদের ওষুধের প্রয়োজন হয়। আর এখন গোটা সংসারের দায়িত্ব তার ওপর। তাই মন থেকে সেকেন্ড লিড করতে না চাইলেও তার পক্ষে এখন আর বসে থাকা সম্ভব না। তবে নবনীতা বিশ্বাস করেন দিনের শেষে পারফরমেন্সই শেষ কথা বলে। তাই তিনি বিশ্বাস করেন তিনি আবার হয়তো দর্শকদের ভালবাসায় ফিরে আসবেন কোনো না কোনো সিরিয়ালের মুখ্য চরিত্র হয়ে।